
ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্সকে ভরসা দিতে এলেন ক্রোয়েশিয়ার টমিস্লাভ, দলের দ্বিতীয় বিদেশী
মার্সেলার দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে, তাই এশীয় কোটায় তাঁকে খেলানো যায় কিনা সেই নিয়ে ভাবনা শুরু হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া এ লিগে খেলা ৬ ফুট ৪ ইঞ্চির দীর্ঘকায় এই ডিফেন্ডার লাল হলুদ রক্ষণকে ভরসা জোগাবেন।
২০১৮ সালে এ লিগের ক্লাব পার্থ গ্লোরিতে ২ বছরের চুক্তিতে সই করেছিলেন টমিস্লাভ। সেই ক্লাবের হয়ে ২টো ম্যাচও খেলেছেন তিনি। পার্থ গ্লোরির হয়ে অস্ট্রেলিয়ান লিগও চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। এশীয় কোটাতেই তাঁকে নেওয়া হয়েছে, তাই বলা হয়েছে ক্লাবের তরফে।
লাল-হলুদে সই করে অস্ট্রেলিয়ার ডিফেন্ডার বলেন, ‘‘এসসি ইস্টবেঙ্গলে সই করায় খুব খুশি। ক্লাবের ইতিহাস জেনে আমার ভাল লেগেছে। অনেক নামী তারকা এর আগে এই ক্লাবে খেলে গিয়েছেন, আমিও আমার সেরাটা দেব। আমার অনেক বন্ধুই ভারতে খেলে গিয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে এই ক্লাবের ব্যাপারে অনেক কথা শুনেছি। বিশ্বে ইস্টবেঙ্গলের একটা গুরুত্ব রয়েছে, সেটি আমিও উপলব্ধি করেছি।’’
মার্সেলা আরও বলেছেন, ‘‘দলের রক্ষণভাগে নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাই। একই সঙ্গে ড্রেসিংরুমে দারুণ এক আবহ রচনা করতে চাই। দলের পরিবেশই সাফল্যের হাতিয়ার। দলের জন্য নিজের সবটা উজাড় করে দিতে হবে। ক্লাবের সমর্থকদের ব্যাপারে অনেক কথা শুনেছি। ওরা গ্যালারিতে না থাকতে পারায় কিছুটা আক্ষেপ তো আছেই। তবে তাঁদের খুশি রাখার দায়িত্ব আমাদের। মাঠে নামার জন্য ছটফট করছি।’’
অস্ট্রেলিয়ার পার্থে জন্মালেও টমিস্লাভের বেড়ে ওঠা ক্রোয়েশিয়ায়। সেখানকার স্থানীয় এক অ্যাকাডেমি থেকেই ফুটবল শুরু করেন টমিস্লাভ। ক্রোয়েশিয়ার লিগে খেলার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর। ২০১৮ সালে বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে কিরঘিজস্তানের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার ২৩ জনের দলে ডাক পান এই দীর্ঘকায় ডিফেন্ডার।
টমিস্লাভ দক্ষিণ কোরিয়ার লোকোমেটিভ ক্লাবেও খেলেছেন। তিনি রক্ষণ থেকে উঠে গিয়ে গোল করতেও সিদ্ধহস্ত। এই তারকা ডিফেন্ডারকে নিয়ে আশায় রয়েছেন লাল হলুদ সমর্থকরা।