নিজের অক্লান্ত পরিশ্রমের রসদ নিয়ে মুখ খুললেন বিরাট কোহলি।
শেষ আপডেট: 16th May 2024 14:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিরাট কোহলিকে নিয়ে আর যাই হোক, অবসরের জল্পনা অন্তত এখনও দেখা যাচ্ছে না। বয়স 'মাত্র' ৩৫! যা নিয়ম ও বিধিনিষেধ তিনি মেনে চলেন, সমাজমাধ্যমে সেসব 'মোটিভেশনাল ভিডিও' হয়ে ঘোরে। দিল্লির ছোলে-বাটোরে খাওয়া বিরাট এখন প্রাতরাশ থেকে নৈশভোজ, সব একেবারে ইঞ্চি-সেন্টিমিটার মেপে সারেন। ক্রিকেটকে সেই অর্থে 'গ্লোবাল স্পোর্টস' বলা হত না অ্যাদ্দিন! ফুটবল-ভক্তরা বাঁকা চোখে বলতেন, 'ওই তো দশটা-বারোটা দেশের লোকে খেলে!' এখন আর সেদিন নেই। আইপিএলের জৌলুস ছড়িয়েছে বিশ্বের প্রতিটি কোণায়। ফুটবল নিয়েও নাক সিঁটকোনো আমেরিকায় আগামী মাস থেকে শুরু হচ্ছে টি-২০ বিশ্বকাপ। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এর সবটাই হয়েছে কার্যত একা বিরাট কোহলির জনপ্রিয়তায়।
এরকম অক্লান্ত দৌড়ের রসদ কী? এই প্রশ্ন তো বিরাটের মুখোমুখি হলে একবার না একবার উঠবেই! বেঙ্গালুরুতে এক নৈশভোজের ফাঁকে প্রশ্নটা ধেয়ে গেল বিরাটের দিকে। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিরাট বললেন, 'দ্যাখো, এটা খুবই সহজ। আমার মনে হয় খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের সবার একটা শেষ দিন আছে। আমি তাই একটু পিছিয়ে যাই মাঝেমধ্যে। আমি চাই না এটা ভেবে আমার কেরিয়ার শেষ হোক যে, 'ওহ যদি আমি ওই শেষদিনে অমুকটা করতে পারতাম...'। কারণ আমি তো অনন্তকাল ওরকম এগোতে পারব না। সেইজন্য আমি ভাবি যে কোনও কাজ যেন অসম্পূর্ণ না থেকে যায়। কেরিয়ারটা কোনও আক্ষেপ নিয়ে শেষ হোক, আমি চাই না!'
আমেরিকা থেকে ইউরোপ, ক্রিকেটের তেমন নাম-না-শোনা দেশেও এখন বিরাট কোহলির নাম পৌঁছে গিয়েছে। আমেরিকায় বলাবলি হয়, কে বেশি জনপ্রিয়, লেব্রন জেমস (বিখ্যাত বাস্কেটবল তারকা) নাকি বিরাট! ইনস্টাগ্রামে কোহলি এই মুহূর্তে ভারত-তথা এশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকা। 'ফলোয়ার'-এর সংখ্যা ২৬৮ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গিয়েছে। এবারের আইপিএলে এখনও অবধি কমলা টুপির অধিকারী তিনি। আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপেও ভারতের বড় ভরসা হতে চলেছেন বিরাট।
শেষ দিনের কথাই যখন উঠল, তখন কি অবসরের চিন্তার একটা আভাস আসবে না? বিরাট নিজেই তুললেন সে' কথা। বললেন, অবসরের পরে একটা লম্বা বিরতি নেবেন। যদিও অবসরের পরে কী করবেন সেসব নিয়ে কিছু বলতে চাইলেন না। সেরকম ভাবনা আছে কি নেই, সেটাও তিনি উহ্য রাখলেন। কিন্তু বললেন, 'একবার অবসর নিয়ে নিলে, তারপর আমি আর নেই। কোথাও হয়ত চলে যাব, অনেকদিন আপনারা আমাকে দেখতে পাবেন না। সেইজন্যই তো শেষ দিন অবধি আমি সবটুকু দিয়ে খেলে যেতে চাই। যাতে কোনও আক্ষেপ না থাকে। আমার মনে হয় ওটাই আমাকে সামনে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা দেয়।'