শেষ আপডেট: 29th December 2024 05:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো : ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে চতুর্থ টেস্ট ম্যাচ মেলবোর্নে আয়োজন করা হচ্ছে। এই টেস্ট ম্যাচের তৃতীয় দিন টিম ইন্ডিয়ার তরুণ ব্যাটার নীতীশ কুমার রেড্ডি দুর্দান্ত শতরান করলেন। এটাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর প্রথম সেঞ্চুরি। তৃতীয় দিনের শেষে তিনি ১৭৬ বলে অপরাজিত ১০৫ রান করেন। তাঁর এই ইনিংসে ১০ চার এবং ১ ছক্কা রয়েছে। চতুর্থ দিন টিম ইন্ডিয়া ৩৬৯ রানে অলআর্উট হয়ে যায়। অস্ট্রেলিয়া আপাতত ১০৫ রানে এগিয়ে রয়েছে।
নীতীশ যখন ৯০-এর ঘরে ব্যাট করছিলেন, সেইসময় টেলিভিশনের পর্দায় এক ব্যক্তির মুখ আচমকাই ভেসে ওঠে। চোখে-মুখে টেনশন স্পষ্ট। কিছুক্ষণের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যায় পরিচয়। তিনি নীতীশের বাবা মুত্যালা রেড্ডি। ছেলের শতরানের জন্য তিনি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। শেষপর্যন্ত নীতীশের চওড়া ব্যাট থেকে যখন ঝকঝকে সেঞ্চুরিটা বেরিয়ে এল, তখন আর চোখের জল তিনি ধরে রাখতে পারেননি। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
মুত্যালা রেড্ডির চোখের জল মন ভিজিয়েছে টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়েরও। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতেই তিনি ইনস্টাগ্রামে একটি স্পেশাল পোস্ট করেছেন। ছবির ক্যাপশনে সৌরভ লিখেছেন, 'অসাধারণ একটা ছবি। রেড্ডিদের এই ছবি চিরকাল মনে থাকবে। দুর্দান্ত খেলেছ নীতীশ।'
View this post on Instagram
প্রসঙ্গত, নীতীশের এই সাফল্যের পিছনে মুত্যালা রেড্ডির অবদান অপরিসীম। তিনি হিন্দুস্তান জিঙ্কস সংস্থায় কাজ করতেন। কিন্তু, আচমকা উদয়পুরে তাঁর ট্রান্সফার হয়ে যায়। সেদিন তিনি চাকরির স্বার্থে উদয়পুরে চলে গেলে, হয়ত নীতীশ আজকের দিনটা দেখতে পেতেন না। ছাড়তে হত ক্রিকেট। ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে বাবা নিজের চাকরি ছেড়ে দেন। সেইসময় নীতীশের বয়স ছিল ১২ কিংবা ১৩ সাল।
মুত্যালা রেড্ডি হিন্দুস্তান জিঙ্কস সংস্থায় কাজ করতেন। কিন্তু, আচমকা উদয়পুরে তাঁর ট্রান্সফার হয়ে যায়। সেদিন তিনি চাকরির স্বার্থে উদয়পুরে চলে গেলে, হয়ত নীতীশ আজকের দিনটা দেখতে পেতেন না। ছাড়তে হত ক্রিকেট। ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে বাবা নিজের চাকরি ছেড়ে দেন। সেইসময় নীতীশের বয়স ছিল ১২ কিংবা ১৩ সাল।
বিসিসিআই টিভি-কে দেওয়া একটি ইন্টারভিউয়ে নীতীশ বলেন, 'সত্যিই বলছি, ছোটবেলায় আমি ক্রিকেট নিয়ে অতটাও সিরিয়াস ছিলাম না। কিন্তু, আমাকে ক্রিকেট শেখানোর জন্য বাবা চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। আমার এই সাফল্যের পিছনে ওঁর প্রচুর অবদান রয়েছে। একদিন তো সংসারে আর্থিক অনটনের কারণে বাবাকে কাঁদতেও দেখেছিলাম আমি। এরপর থেকেই ক্রিকেট খেলাকে আমি সিরিয়াসলি গ্রহণ করতে শুরু করি। আমি যখন প্রথম জার্সিটা ওঁর হাতে তুলে দিয়েছিলাম, তখন বাবার চোখে-মুখে খুশি দেখার মতো ছিল।'