শেষ আপডেট: 15th February 2025 23:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একেবারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। দিল্লি ক্যাপিটালস বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। শেষ ওভার পর্যন্ত এই ম্যাচে টানটান উত্তেজনা দেখতে পাওয়া গেল। শেষপর্যন্ত ১ বলে ২ রান দরকার ছিল। অন্তিম বলে হল ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ। শেষপর্যন্ত ২ উইকেটে জয়লাভ করল দিল্লি ক্যাপিটালস। দুই দলের মধ্যে মোট ৬ ম্যাচ খেলা হয়েছে। দুটো দলই তিনটে করে ম্যাচে জয়লাভ করেছে। তবে প্রথম মরশুমে দিল্লিকে হারিয়েই খেতাব জয় করেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ২০২৫ মহিলা প্রিমিয়ার লিগে দিল্লি তাদের প্রথম ম্যাচেই মুম্বইকে হারিয়ে দিল। এই জয়ের পর দলের ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখেও হাসি দেখতে পাওয়া গেল।
এই ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালস টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ব্যাট হাতে মুম্বইয়ের শুরুটা অবশ্য ভাল হয়নি। ওপেনার হেইলি ম্যাথিউস শূন্য রানে আউট হয়ে যান। সেই জায়গায় ব্যাট করতে নেমেছিলেন ন্যাট স্কিভার। এলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন। ৫৯ বলে ৮০ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। তাঁর ব্যাট থেকে বেরিয়ে আসে ১৩ বাউন্ডারি। এছাড়া দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত কাউর তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিলেন। হরমনপ্রীত এই ম্যাচে ২২ বলে ৪২ রান করেন। তৃতীয় উইকেটে ৭৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলে মুম্বই।
তবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মিডল অর্ডার এই ম্যাচে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। এই দলের মোট ৮ ব্যাটার এক অঙ্কের রানে আউট হয়ে ফিরে যান। পাঁচ বল বাকি থাকতেই তারা ১৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। দিল্লির হয়ে সর্বাধিক তিনটে উইকেট শিকার করেন অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড। জোড়া উইকেট শিকার করেন শিখা পাণ্ডে। এছাড়া একটি করে উইকেট শিকার করেন অ্যালিস ক্যাপসি এবং মিন্নু মনি।
জয়ের জন্য ১৬৫ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নামে দিল্লি ক্যাপিটালস। ওপেনার শেফালি বর্মা ১৮ বলে ৪৩ রানের একটা ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। অপর ওপেনার মেগ ল্যানিংও করেন ১৯ বলে ১৫ রান। এছাড়া মিডল অর্ডারে হাল ধরেন নিকি প্রসাদ এবং সারা ব্রাইস। নিকি ৩৩ বলে করেন ৩৫ রান এবং সারা ১০ বলে ২১ রান। এখানেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়।
এবার শেষ ওভারের কথায় আসা যাক। শেষ ৬ বলে দিল্লির সামনে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১০ রান। মুম্বই ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত বলটা সজনার হাতে তুলে দেন। প্রথম বলেই নিকি প্রসাদ একটা বাউন্ডারি হাঁকান। তবে এই বাউন্ডারি হজম করেও দমে যায়নি সজনা। পরের তিনটে বলে মাত্র ৪ রান খরচ করেন তিনি।
ওভারের পঞ্চম বলে বড় শট হাঁকাতে যান নিকি। কিন্তু, ডিপ মিড-উইকেটে দাঁড়িয়ে ছিলেন অ্যামিলিয়া কের। নিকির ক্যাচ তালুবন্দি করতে তাঁর কোনও সমস্যা হয়নি। শেষ বলে জয়ের জন্য দিল্লির দরকার ছিল ২ রান। ব্যাট করতে নামেন অরুন্ধতী রেড্ডি। দুই শিবিরেই তখন চরম উত্তেজনা। অরুন্ধতী কোনওক্রমে বলটা কভারের দিকে পাঠিয়ে দুটো মূল্যবান রান চুরি করে নেন।
তবে তার আগে অবশ্য কভার অঞ্চল থেকে বলটা উইকেটকিপার ইয়াস্তিকা ভাটিয়ার দিকে থ্রো করেন অধিনায়ক হরমনপ্রীত কাউর। ইয়াস্তিকা কোনওক্রমে বলটা উইকেটে লাগিয়েই আউটের আবেদন করেন। সেই সিদ্ধান্ত পাঠিয়ে দেওয়া হয় তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে। রিল্পেতে স্পষ্ট দেখতে পাওয়া যায়, বলটা ইয়াস্তিকা উইকেটে হিট করেছেন ঠিকই, কিন্তু অরুন্ধতীর ব্যাট ক্রিজের সামান্যতম ভিতরে রয়েছে। দেওয়া হয় নট আউটের সিদ্ধান্ত। ততক্ষণে দিল্লি ক্যাপিটালসের বাকি ক্রিকেটাররা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছেন।