শেষ আপডেট: 3rd November 2024 13:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় তথা অন্তিম ম্যাচে ২৫ রানে টিম ইন্ডিয়া। একটা সময় মনে হয়েছিল, ম্যাচটা বোধহয় ভারতীয় ক্রিকেট দল জিতে মানরক্ষা করবে। শেষপর্যন্ত সেই আশঙ্কা অবশ্য সত্যি হয়নি। কিন্তু, ভারতীয় ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টের ব্যর্থতা আরও একবার প্রশ্ন তুলতে বাধ্য করল।
আশা করা হয়েছিল যে মুম্বই যেহেতু রোহিত শর্মার ঘরের মাঠ, সেকারণে তিনি হয়ত চেনা উইকেটে পুরনো ছন্দে ফিরতে পারবেন। কিন্তু, সেই দৃশ্য অবশ্য দেখতে পাওয়া গেল না। মুম্বইয়ের চেনা উইকেটে তিনি দুটো ইনিংসে যথাক্রমে ১৮ এবং ১১ রান করলেন। একই অবস্থা টিম ইন্ডিয়ার তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলিরও। কিং কোহলি প্রথম ইনিংসে ৪ রান করলেও, দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যেতে হয়। ভারতীয় ক্রিকেট দলের কাছে এটা যে অনেক বড় ধাক্কা, সেটা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হচ্ছে বর্ডার-গাভাসকার ট্রফি। মুম্বই টেস্ট জয় নিয়ে আমরা যতই লাফালাফি করি না কেন, মাথায় রাখতে হবে সিরিজটা ১-২ ব্যবধানে হেরে গিয়েছি। আর এই পরাজয়ের অন্যতম কারণ হল ভারতীয় ক্রিকেট দলের এই দুই মহারথীর ব্যাটিং ব্যর্থতা।
অস্ট্রেলিয়ার উইকেটে গতি থাকবে। থাকবে বাউন্সও। ভারতীয় উপমহাদেশের উইকেটে যেখানে রোহিত-বিরাট মুখ থুবড়ে পড়লেন, সেখানে অজিভূমে তাদের ব্যাটিং সাফল্যের প্রত্যাশী গোটা দেশ। কারণ পরের বছরই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। আর ফাইনালে ওঠার অঙ্ক টিম ইন্ডিয়ার কাছে ক্রমশ জটিল হতে শুরু করেছে। যশস্বী-শুভমানের ব্যাটে বিক্ষিপ্ত রান এলেও বিদেশের মাটিতে তাঁরা সেই ভরসার জায়গা এখনও অর্জন করতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টিম ইন্ডিয়াকে জিততে হলে বিরাট-রোহিতের ব্যাটে রান চাই-ই চাই। এরপর সবটাই কপাল!
প্রসঙ্গত, ২৪ বছর পর ভারতীয় ক্রিকেট দল ঘরের মাটিতে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হল। ইতিপূর্বে ২০০০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টিম ইন্ডিয়া দুই ম্য়াচের টেস্ট সিরিজে এই লজ্জার নজির কায়েম করেছিল।