সামি ও তাঁর মেয়ে
শেষ আপডেট: 16th March 2025 17:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফের নিশানায় মহম্মদ সামি। নিশানা করলেন সেই মৌলানা সাহাবুদ্দিন রাজভি। যিনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চলাকালীন ভারতীয় পেসারের এনার্জি ড্রিঙ্কে চুমুক দেওয়াকে ‘মস্ত বড় অপরাধ’ ও ‘এর জন্য তাঁকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে’ বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
তবে এবার সরাসরি সামি নন। তাঁর মেয়েকে কেন্দ্র করে ঘনিয়ে উঠল বিতর্ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় মহম্মদ সামির মেয়ের হোলি খেলার একটি ছবি ভাইরাল হয়। যে ইস্যুতে ভারতীয় সিমারকে একহাত নিয়ে রাজভি বলেন, রঙের এই উদযাপন ‘অবৈধ’। কারণ তা শরিয়ত-বিরোধী। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। এক পা বাড়িয়ে এই কাজকে ‘অপরাধ’ বলেও দেগে দিয়েছেন।
নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাতে'র প্রেসিডেন্ট মৌলানা সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ‘ও বাচ্চা মেয়ে। যদি কিছু না বুঝে হোলি খেলে থাকে, তাহলে সেটা অপরাধ নয়। কিন্তু যদি বুঝেশুনেও হোলি খেলে, তখন তা শরিয়তের বিরোধী বলে গণ্য হবে।’
রাজভির বক্তব্য, রোজা ভাঙা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধার পর তিনি ব্যক্তিগতভাবে মহম্মদ সামিকে ইসলামিক অনুশাসন মেনে চলার উপদেশ দিয়েছিলেন। তারপরেও তাঁর মেয়ের হোলি খেলার ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। যে কারণে যারপরনাই বিরক্ত হয়েছেন রাজভি৷ বলেছেন, ‘আমি সামি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের কাছে আবেদন রেখেছিলাম—যা শরিয়তে বলা নেই, সন্তানদের তেমন কাজ করতে দিও না। হোলি হিন্দুদের বড় উৎসব। কিন্তু মুসলিমদের তা এড়িয়ে চলা উচিত৷ কেউ শরিয়ত জেনেও যদি হোলি উদযাপন করে তাহলে সেটা অবশ্যই অপরাধ।’
প্রসঙ্গত, এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম সেমিফাইনাল খেলার সময় মহম্মদ সামি রোজা ভেঙে এনার্জি ড্রিঙ্কে বারকয়েক চুমুক দিয়েছিলেন। সেই ছবি মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। মুসলিম বোলারকে এভাবে রোজা ভাঙতে দেখে মুসলিম সম্প্রদায়ের একদল ক্রিকেট সমর্থক সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই শুরু করেন। সেই বিতর্কে নিজের হাত সেঁকে নেন সর্বভারতীয় মুসলিম জামাত সংগঠনের সভাপতি মৌলানা সাহাবুদ্দিন রাজভি বরেইলভি।
সংবাদমাধ্যমে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজনের কাছে একটি বাধ্যতামূলক কর্তব্য হল এই রোজা পালন করা। যদি কোনও সুস্থ পুরুষ কিংবা মহিলা রোজা না রাখেন, তাহলে সেটা মস্ত বড় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।’
মহম্মদ সামির শারীরিক সুস্থতার কথা উল্লেখ করে রাজভি যোগ করেন, 'সবাই ওঁকে দেখছেন। যদি খেলতে পারেন, তাহলে শারীরিকভাবে যে সুস্থ, তা ধরে নেওয়া যেতেই পারে। এই অবস্থায় সামি রোজা পালন করলেন না। এমনকী, জলপান করলেন। এটা সাধারণ মানুষের কাছে একটা ভুল বার্তা পৌঁছে দিল।'