শেষ আপডেট: 14th October 2024 23:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রবিবার গ্রুপ পর্যায়ের শেষ ম্যাচে টিম ইন্ডিয়া অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল। সেই ম্যাচ হেরে নিজেদের শেষ চারে যাওয়ার রাস্তা প্রায় বন্ধই হয়েছিল ভারতের। তবুও একটু আশা করেছিলেন অনেকে। পড়শি দেশ পাকিস্তান যদি কিছু একটা করতে পারে! কিন্তু তাও হল না। ভারতের 'ভরসার' দাম পাকিস্তান দিতে পারল না। তারাও হারল এবং ভারতের বিশ্বকাপ জার্নিও পুরোপুরি শেষ হয়ে গেল। সেমিফাইনালে চলে গেল নিউজিল্যান্ড।
এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড করে ১১০/৬ রান। জবাবে পাকিস্তান শেষ হয় মাত্র ৫৬ রানে! নিয়ন্ত্রিত বোলিং দিয়ে কিউয়িদের কম রানে আটকে রেখেছিল তাঁরা। কিন্তু নিজেরা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয় ফিল্ডিং এবং ব্যাটিংয়ে। পিচ মন্থর থাকায় ব্যাটে-বলে সংযোগে সমস্যা হচ্ছিল নিউজিল্যান্ডেরও। কিন্তু তাঁরা শেষমেশ একটা ফাইটিং স্কোর করে। কিন্তু পাকিস্তান কার্যত দাঁড়াতেই পারেনি তাঁদের বোলিংয়ের সামনে।
অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে ভারত তাকিয়ে ছিল এই ম্যাচের দিকেই। নিউজিল্যান্ড জিতলে হরমনপ্রীতদের কোনও আশা ছিল না। কিন্তু পাকিস্তান যদি ১০.৪ ওভারের পরে রান তুলে জেতে তাহলে আবার নিউজিল্যান্ড এবং ভারত সেমিতে যেত। আর তার কম ওভারে রান তুললে সেমিফাইনাল খেলত পাকিস্তানই। আখেরে কোনও অঙ্কই কাজে লাগল না কারও। হেঁসেখেলে জিতে সেমিতে গেল কিউয়িরা।
নিজেদের শেষ ম্যাচে শুরুটা বেশ ভালই করেছিল টিম ইন্ডিয়া। পাওয়ার প্লে চলাকালীন ওভার প্রতি ৭-৮ করে রানও আসছিল। কিন্তু, টিম ইন্ডিয়ার ওপেনার শেফালি বর্মা (১৩ বলে ২০ রান) আউট হতেই টপ অর্ডার কার্যত তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। দলের মিডল অর্ডারে কিছুটা হলেও বুঝেশুনে ব্যাটিং করছিলেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক হরমনপ্রীত কাউর এবং দীপ্তি শর্মা। তাঁদের মধ্যে ৬৩ রানের পার্টনারশিপও গড়ে ওঠে। কিন্তু, টিম ইন্ডিয়ার জয়ের জন্য তা একেবারে পর্যাপ্ত ছিল না।