শেষ আপডেট: 29th December 2024 10:53
দ্য ওয়াল ব্যুরো : মেলবোর্ন টেস্টে শতরান করার পর রাতারাতি ভারতীয় ক্রিকেটে 'তারকা' হয়ে উঠেছেন নীতীশ কুমার রেড্ডি। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ থেকে সমর্থক, সকলেই তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। সবথেকে বড় কথা, অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে তিনি ভারতীয় ক্রিকেট দলের হাল ধরেন এবং ১১৪ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস টিম ইন্ডিয়াকে উপহার দেন। ইতিমধ্যে স্টেডিয়ামে উপস্থিত নীতীশের বাবা মুত্যালা রেড্ডির ভিডিও যথেষ্ট ভাইরাল হয়। ছেলের সেঞ্চুরি দেখার পর তিনি আবেগে ভাসতে থাকেন। এবার ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকারের সঙ্গে দেখা করলেন নীতীশের বাবা।
মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন নীতীশের পরিবার সুনীল গাভাসকারের সঙ্গে দেখা করে। ইতিমধ্যে নীতীশের বাবা মুত্যালা এই কিংবদন্তি ক্রিকেটারের পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন। গাভাসকারকে দেখে তিনি আবেগে ভেসে যান। এই ঘটনায় সুনীল গাভাসকারের চোখেও জল দেখতে পাওয়া যায়। নীতীশের কেরিয়ার এগিয়ে দেওয়ার জন্য গাভাসকারকে ধন্যবাদ জানালেন মুত্যালা।
এই সাক্ষাতের পর সুনীল গাভাসকার বললেন, 'ছেলের জন্য উনি কতটা আত্মত্যাগ করেছেন, সেটা আমরা সকলেই জানি। ওঁকে যথেষ্ট লড়াই করতে হয়েছে। আপনার জন্যই ভারতীয় ক্রিকেট আজ এই হিরে পেয়েছে।' মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের ব্যাকরুমে এই আবেগঘন মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে। টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অলরাউন্ডার ইরফান পাঠানও টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন নীতীশের বাবার সঙ্গে দেখা করেন। স্টার স্পোর্টসে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় সেই কথাটা উল্লেখও করেন তিনি।
The most emotional and poignant moment - cricket and Indian culture!
— Vikrant Gupta (@vikrantgupta73) December 29, 2024
Nitish Kumar Reddy’s father, and his respect and emotions for the Great Sunil Gavaskar pic.twitter.com/BXFTTqc9xA
এই তরুণ ক্রিকেটারের সাফল্যের পিছনে যাবতীয় অবদান যে তার পরিবারের রয়েছে, সেকথা স্বীকার করলেন ইরফান পাঠানও। নীতীশের বাবা মুত্যালা রেড্ডি ছেলের স্বপ্ন পূরণের জন্য অনেক আত্মত্যাগ করেছেন। তিনি হিন্দুস্তান জিঙ্কস সংস্থায় কাজ করতেন। কিন্তু, আচমকা উদয়পুরে তাঁর ট্রান্সফার হয়ে যায়। সেদিন তিনি চাকরির স্বার্থে উদয়পুরে চলে গেলে, হয়ত নীতীশ আজকের দিনটা দেখতে পেতেন না। ছাড়তে হত ক্রিকেট। ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে বাবা নিজের চাকরি ছেড়ে দেন। সেইসময় নীতীশের বয়স ছিল ১২ কিংবা ১৩ সাল।
বিসিসিআই টিভি-কে দেওয়া একটি ইন্টারভিউয়ে নীতীশ বলেন, 'সত্যিই বলছি, ছোটবেলায় আমি ক্রিকেট নিয়ে অতটাও সিরিয়াস ছিলাম না। কিন্তু, আমাকে ক্রিকেট শেখানোর জন্য বাবা চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। আমার এই সাফল্যের পিছনে ওঁর প্রচুর অবদান রয়েছে। একদিন তো সংসারে আর্থিক অনটনের কারণে বাবাকে কাঁদতেও দেখেছিলাম আমি। এরপর থেকেই ক্রিকেট খেলাকে আমি সিরিয়াসলি গ্রহণ করতে শুরু করি। আমি যখন প্রথম জার্সিটা ওঁর হাতে তুলে দিয়েছিলাম, তখন বাবার চোখে-মুখে খুশি দেখার মতো ছিল।'