শেষ আপডেট: 15th March 2025 23:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মুম্বই ইন্ডিয়ান্স আবারও চ্যাম্পিয়ন! ২০২৩ সালের ফাইনালের বদলা নেওয়ার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারল না দিল্লি ক্যাপিটালস। টানা তিনবার ফাইনালে উঠে তিনবারই হার—WPL-র ইতিহাসে দিল্লি ক্যাপিটালসকে এখন সবচেয়ে দুর্ভাগা দল বলাই যায়। এবারের ফাইনালে তারা ১৪১ রান তোলে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৮ রানে হার মানতে হয়। গত তিন মরশুমে দ্বিতীয়বার শিরোপা জিতে নিল হরমনপ্রীত কৌরের মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
দিল্লি অধিনায়ক মেগ ল্যানিং ব্র্যাবোর্ন স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। শুরুতেই দাপট দেখান মারিজানে কাপ। ৪ ওভারের স্পেলে মাত্র ২ উইকেট নিলেও তাঁর বোলিংয়ে চাপে পড়ে যায় মুম্বই। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের শেষ বলে ইন-ফর্ম ব্যাটার হেলি ম্যাথিউজকে ফেরান তিনি। এরপর নিজের তৃতীয় ওভারে যশতিকা ভাটিয়াকে আউট করে মুম্বইকে আরও চাপে ফেলে দেন। ৫ ওভার শেষে মুম্বইয়ের স্কোর দাঁড়ায় ১৪/২।
প্রথমদিকে ধুঁকতে থাকা মুম্বইয়ের হাল ধরেন অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর এবং ন্যাট স্কিভার ব্রান্ট। শুরুতে সাবধানী ব্যাটিং করলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গতি বাড়ান দু’জনেই। তবে ২৮ বলে ৩০ রান করে আউট হন ব্রান্ট। এরপর অ্যামেলিয়া কের (২) ও সজীবন সজনা (০) দ্রুত ফিরলে চাপ ফের ফিরে আসে অধিনায়কের ওপর।
হরমনপ্রীত কৌর দেখালেন কেন তিনি বড় ম্যাচের খেলোয়াড়। ৪৪ বলে ৬৬ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে দলকে শক্ত ভিত দেন। ৯টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে সাজানো এই ইনিংসই শেষ পর্যন্ত ফাইনালের পার্থক্য গড়ে দেয়। তাঁর ব্যাটে ভর করেই মুম্বই ৭ উইকেটে ১৪৯ রানের সম্মানজনক স্কোর গড়ে। ১৫০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথমেই ধাক্কা খায় দিল্লি ক্যাপিটালস। দলের দুই ভরসা মেগ ল্যানিং এবং শেফালি বর্মা দ্রুত ফিরলে চাপে পড়ে যায় দল। পাওয়ারপ্লের পরই আউট হন জেস জোনাসনও। ল্যানিং (১৩), শেফালি (৪) ও জোনাসন (১৩)—তিন জনই ব্যর্থ। ল্যানিংকে ফেরান ব্রান্ট, শেফালিকে আউট করেন শাবনিম ইসমাইল এবং জোনাসনের উইকেট নেন অ্যামেলিয়া কের। শেষ পর্যন্ত দিল্লি ক্যাপিটালসের ভাগ্যে আবারও হতাশা। এবারও তাদের অপেক্ষা বাড়ল, আর মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তুলে নিল দ্বিতীয় WPL ট্রফি।