শেষ আপডেট: 14th January 2025 15:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ছন্দে ফিরতে ভারতের ক্রিকেট দলে আপাতত চালু হয়েছে ‘সংকোচনের নীতি’। আজই সামনে এসেছে বিসিসিআইয়ের জারি করা একগুচ্ছ নয়া ফরমান। যেখানে খেলোয়াড়দের স্ত্রীদের বিদেশ সফরে গতিবিধি থেকে শুরু করে ক্রিকেটারদের তল্পিতল্পা বহন—সবেতেই রয়েছে কাটছাঁটের নির্দেশ।
এই সুরেই এবার সুর মেলালেন প্রাক্তন ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকার। একটি ওয়েবসাইটের কলামে গাভাসকার লিখেছেন, বিদেশে ট্যুরে যাওয়ার সময় উনিশ জনের স্কোয়াড বাছাটা নেছাতই বাহুল্য। সেই সংখ্যাটা ষোলোয় নামিয়ে আনা উচিত। অতিরিক্ত খেলোয়াড় সমেত মোট ষোলো জনই যথেষ্ট। এর বেশি প্রয়োজন নেই।
গাভাসকারের বক্তব্য, ‘ষোলোর অতিরিক্ত প্লেয়ার পাঠানো হলে বোঝা যায়, নির্বাচকেরা নিজেরাই দ্বন্দ্বে ভুগছেন। আর এটা খুব ভালো সংকেত নয়। বিসিসিআইয়ের হাতে সুযোগ আছে বলেই তারা একগাদা খেলোয়াড় পাঠাবে, এটা মানা যায় না।‘
এই সূত্রে প্র্যাকটিস বোলার পাঠানোর পক্ষেও সতর্ক মন্তব্য করেছেন তিনি। তারা নেটে বল করুক। দলের ব্যাটারদের সাহায্য করুক। কিন্তু তাই বলে তাদের হাতে জাতীয় দলের টুপি তুলে দেওয়ার মানে হয় না। এমনটাই মনে করেন সানি।
বিদেশে গেলে প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলা নিয়ে ইদানীং সময়ে অ্যালার্জি দেখা দিয়েছে রোহিত ব্রিগেডের মধ্যে। বর্ডার-গাভাসকার ট্রফিতে ভারত একটাও অনুশীলন ম্যাচ খেলেনি। তখন এই ইস্যুতে সরব হন গাভাসকার। নিজের কলামে তিনি বিষয়টিকে ফের উত্থাপন করেছেন।
পাশাপাশি আসন্ন ইংল্যান্ড সফরে সময়ের সদ্ব্যবহার করে কীভাবে অনুশীলন সেরে ফেলা সম্ভব, তারও নীল নকশা বুনে দিয়েছেন গাভাসকার। লিখেছেন, ‘সিরিজ চলাকালীন ম্যাচগুলির মধ্যে বেশ কয়েক দিনের বিরতি রয়েছে। সেটাকে কাজে লাগাতে হবে। ইংল্যান্ডে সড়কপথেই সফর করবে ভারত। এই কারণে দিন নষ্টের ব্যাপার নেই। একটি টেস্টের ঠিক পরের দিন ছুটি দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু তারপরের দু’দিন যেন কাজে লাগানো হয়।‘