শেষ আপডেট: 9th October 2024 20:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো : এলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন। হ্যাঁ, ভারতীয় ক্রিকেট দলের 'তরুণ তুর্কি' নীতিশ রেড্ডির ব্যাটিং দেখে এই কথাটাই বোধহয় বলা যেতে পারে। যে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে তিনি খেললেন, তা গোটা ম্য়াচের টোন সেট করলেন। মাত্র ২৭ বলে ৫০ রান করে বুঝিয়ে দিলেন লম্বা রেসের ঘোড়া তিনি। শেষপর্যন্ত ৩৩ বলে ৭৪ রান করে তিনি প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। নীতিশের এই ইনিংস ভারতীয় টি-২০ ইতিহাসে আলাদা জায়গা করে নেবে, তা বলা যেতেই পারে। তবে তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের তারকা ফিনিশার রিঙ্কু সিং (২৯ বলে ৫৩ রান)। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে টিম ইন্ডিয়া ৯ উইকেট হারিয়ে ২২১ রান করেছে।
এই ইনিংসটা নীতিশের কাছে সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি এমন একটা সময় ব্যাটিং গিয়ার চেঞ্জ করলেন, যখন পাওয়ার প্লে চলাকালীন ভারতের তিনটে উইকেট পড়ে গিয়েছিল। ১০ রানে সঞ্জু স্যামসন, ১৫ রানে অভিষেক শর্মা এবং ৮ রানে সূর্যকুমার যাদব প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এরপর ভারতের ২১ বছর বয়সি এই তরুণ ক্রিকেটার ২২ গজ শাসন করতে শুরু করেন। তাঁর এই ইনিংসে সাতটি ছক্কা এবং চারটে বাউন্ডারি দেখতে পাওয়া গিয়েছে। ১৩.৩ ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে মেহদি হাসান মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে তাঁকে ফিরতে হয়। নীতিশ যখন প্যাভিলিয়নের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন, সেইসময় গোটা স্টেডিয়াম উঠে দাঁড়িয়ে তাঁকে কুর্নিশ জানায়।
তবে এই ম্যাচে আলাদা করে রিঙ্কু সিংয়ের কথা বলতে হবে। নীতিশ যখন টর্নেডোর গতিতে ব্যাট করছিলেন, সেইসময় রিঙ্কু অ্যাঙ্করের ভূমিকা পালন করলেন। দু-একটা বাউন্ডারি হাঁকালেও, তাঁকে বিধ্বংসী মেজাজে দেখতে পাওয়া যায়নি। কিন্তু, নীতিশ ফিরতেই রণংদেহি মেজাজ দেখতে পাওয়া গেল রিঙ্কুর। ২৬ বলে হাফসেঞ্চুরি করলেন তিনি। যদিও এরপর নিজের ইনিংস খুব বেশি টানতে পারেননি তিনি। পাঁচটা বাউন্ডারি এবং তিনটে ছক্কা তাঁর ব্যাট থেকে দেখতে পাওয়া গেল।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে আয়োজিত এই ম্য়াচে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাঁর সেই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট ফলপ্রসূ হয়েছিল। ১.৬ ওভারের মাথায় ফিরলেন টিম ইন্ডিয়ার ওপেনার সঞ্জু স্যামসন। ৭ বলে তিনি ১০ রান করলেন। কিন্তু, তাসকিন আহমেদের বলে শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে তিনি ফিরে গেলেন। তাঁর সতীর্থ ওপেনার অভিষেক শর্মাও খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। ১১ বলে ১৫ রান করে তাঁকেও প্যাভিলিয়নের রাস্তা ধরতে হয়। তানজিম হাসান সাকিবের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে যান তিনি।
আশা ছিল, এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব হয়ত দলের হাল ধরতে পারবেন। কিন্তু, সে গুড়েও বালি। ৫.৩ ওভারে সূর্যের খেল খতম করলেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশ অধিনায়কের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হল ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ককে। ১০ বলে মাত্র ৮ রান করলেন তিনি।
শেষবেলায় জ্বলে উঠেছিলেন রিয়ান পরাগ। ৬ বলে ১৫ রান করলেন তিনি। হার্দিকও খুব একটা বেশি কেরামতি দেখাতে পারলেন না। যদিও ১৯ বলে ৩২ রান করেন তিনি। এরপর সিলভার ডাক হয়ে ফিরতে হল বরুণ চক্রবর্তীকে। একই ওভারে তৃতীয় উইকেট নিলেন রিশাদ। এবার তাঁর শিকার আর্শদীপ সিং। প্রথম বলে হাঁটু গেড়ে তিনি ছক্কা হাঁকালেও, পরের ডেলিভারিতে তিনি লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান।