শেষ আপডেট: 27th January 2025 14:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো : ম্যাচ গড়াপেটা এবং পাকিস্তান ক্রিকেট দল। এই দুটো কথাই যেন একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত। ইতিপূর্বে, বেশ কয়েকজন পাকিস্তান ক্রিকেটারকে এই গড়াপেটার কারণেই নির্বাসিত করা হয়েছে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে সলমান বাট, মহম্মদ আমিরের। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ইমরান খানের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তিনি স্পষ্টই উল্লেখ করেছেন যে এই গড়াপেটার ব্যাপারে তিনি যথেষ্ট ওয়াকিবহাল ছিলেন।
ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছেন আহমেদ লালা নামে পাকিস্তানেরই একজন ক্রিকেট সমর্থক। দেখা যাচ্ছে, ওই দেশের কোনও ক্রিকেট সংক্রান্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ইমরান। অনুষ্ঠান চলাকালীন ইমরান জানান যে রাত ২টোর সময় হোটেলের টেলিফোন অপারেটর তাঁকে ফোন করেন এবং ঘুম ভাঙিয়ে দেন।
এই ঘটনায় ইমরান কিছুটা হলেও রাগ করেছিলেন। কারণ ঘুমোতে যাওয়ার আগে তিনি দরজার বাইরে 'Do Not Disturb' বোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন। তারপরও আচমকা ফোন আসায় তিনি খানিকটা বিরক্তই হয়। যাইহোক, ওই টেলিফোন অপারেটর ইমরানকে জানিয়েছিলেন যে জাভেদ মিয়াঁদাদ নাকি তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চান।
জাভেদের কথায় শুনেই খানিকটা ঘাবড়ে যান ইমরান। আশঙ্কা করতে থাকেন কোনও এক অজানা বিপদের। এরপর মিয়াঁদাদ কাঁচুমাচু গলায় তাঁকে বলেন, 'কাল সকালের ম্যাচে আমাদের ৪ ক্রিকেটার ইতিমধ্যে নিজেদের বিক্রি করে দিয়েছে।' জবাবে ইমরান বলেন, 'এত রাতে তো আর কিছু করা সম্ভব নয়। কালকের ম্য়াচেই দেখা যাক কী করা যায়।'
পরেরদিন সকালবেলা সবাই ড্রেসিংরুমে আসেন। ম্যাচ খেলতে নামার আগে একটা টিম মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়। সেখানেই দলের প্রত্যেক ক্রিকেটারকে ইমরান হুঁশিয়ারি দেন, 'দ্যাখ ভাই, আমি খুব ভাল করেই জানি যে এই দলের ৪ ক্রিকেটার ম্য়াচ গড়াপেটা করেছে। আমি তোদের প্রত্যেককে খুব ভাল করে চিনি। কে কেমন ক্রিকেট খেলিস, সেটাও খুব ভাল করে জানি। এবার যদি দেখি যে কেউ কোনও বেচাল করছে, তাহলে আজ শুধুমাত্র যে দল থেকেই বের করে দেব তা নয়। তোদের জেলে ভরব।' যদিও কোন কোন ক্রিকেটার এই ম্য়াচ গড়াপেটার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, সেই নাম অবশ্য ইমরান প্রকাশ করেননি। এমনকী, কোন সিরিজে হয়েছিল সেটাও উল্লেখ করেননি তিনি।