শেষ আপডেট: 12th September 2024 12:23
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দয়ালন হেমলতা। মহিলা প্রিমিয়ার লিগের দৌলতে এই নামটা এখন বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছে। গুজরাট জায়ান্টের এই মহিলা ক্রিকেটারকে চেনেন না, এমন সমর্থক বোধহয় খুব কমই রয়েছে। কিন্তু, আপনারা কি জানেন, একটি মারাত্মক মোটরবাইক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন দয়ালন। ভেঙেছিল কবজির হাড়ও। কিন্তু, মনের প্রবল জেদের সামনে কোনও প্রতিবন্ধকতাই দাঁড়াতে পারেনি। আসুন, সেই ফিরে আসার গল্পটাই আজ আপনাদের সঙ্গে করা যাক।
১৯৯৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন দয়ালন হেমলতা। ডান হাতে ব্যাট করার পাশাপাশি রাইট আর্ম অফ ব্রেক বোলিংও করেন তিনি। রেলওয়েজের হয়ে খেলেন ঘরোয়া ক্রিকেট। ২০১৮ সালে মহিলা ওয়ানডে ক্রিকেটে ডেবিউ করেন তিনি। ওই একই বছর আবার মহিলাদের টি-২০ বিশ্বকাপেও তাঁর ডেবিউ হয়।
তখন দয়ালনের বয়স ছিল মাত্র ২০ বছর। মারাত্মক ওই বাইক দুর্ঘটনা তাঁর জীবনে কার্যত অন্ধকার হয়ে নেমে আসে। প্রায় ২ বছর তিনি ২২ গজ থেকে দুরে ছিলেন। ইএসপিএন ক্রিকইনফো-কে দেওয়া একটি ইন্টারভিউয়ে তিনি বলেন, 'এই দুর্ঘটনার পর আমি রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়ি। এই চোটের কারণে আমার জীবন থেকে প্রায় ২ বছর নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এটা এমন একটা সময় হয়েছিল, যখন আমি ক্রিকেট কেরিয়ারের একেবারে শীর্ষে ছিলাম। কিন্তু, দূর্ভাগ্যজনকভাবে আমাকে কেরিয়ারের ১-২ বছর নষ্ট করতে হয়েছিল।'
কিন্তু, তাঁর মনের জোরের কাছে যাবতীয় প্রতিবন্ধকতা ফিকে হয়ে গিয়েছিল। একদিকে যখন ভাঙা কবজি নিয়ে তিনি যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন, তখনও কোনওক্রমে হাতে ব্যাট তোলার জন্য উদগ্রীব হয়ে ছিলেন। সবসময় ক্রিকেট ব্যাটের দিকেই তিনি তাকিয়ে থাকতেন।
এই দুর্ঘটনার মাত্র দেড় মাসের মধ্যেই তিনি ধীরে ধীরে ব্যাট চালাতে শুরু করেন তিনি। সাত মাস পরে হেমলতা ফের ক্রিকেট খেলা শুরু করে দেন। হেমলতা মনে করেন, ক্রিকেটের প্রতি গভীর ভালোবাসার কারণেই তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পেরেছেন।
প্রসঙ্গত, এই দুর্ঘটনার পর আবার নতুন করে হেমলতাকে ক্রিকেট খেলা শুরু করতে হয়। তবে খুব শীঘ্রই তিনি নির্বাচকদের নজরে চলে আসেন। প্রথমে ভারতীয় এ দলে তাঁকে নির্বাচন করা হয়। ২০১৮ সালে তিনি জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলে ফের সুযোগ পান। জুলাই মাসে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তাঁর ডেবিউ হয়। তারপর বাকিটা তো ইতিহাস।