শেষ আপডেট: 10th December 2024 12:17
অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট ম্য়াচ খেলতে নেমেছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। এই ম্য়াচে তারা ১০ উইকেটে হেরে যায়। এই হারের পর বেশ কয়েকজন ভারতীয় ক্রিকেটারকে অভিযোগের কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে কেএল রাহুলেরও।
অ্যাডিলেড টেস্টে রাহুলের ব্যাটিং একেবারেই নজর কাড়তে পারেনি। প্রথম ইনিংসে তো তাঁর মধ্যে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল। তাও ৩৭ রান করেছিলেন তিনি। কিন্তু, দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁকে মাত্র ৭ রান করেই ফিরে যেতে হয়। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের একাংশ প্রশ্ন করছেন, রাহুলের উপর ভারতীয় টিম ম্য়ানেজমেন্ট যে ভরসা দেখাচ্ছেন, চেতেশ্বর পূজারার উপর তা দেখাতে পারছেন না কেন?
একটা সময় পূজারাকে টিম ইন্ডিয়ার 'দ্য ওয়াল' রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে তুলনা করা হত। এমনকী, অস্ট্রেলিয়ার উইকেটে তিনি ১১ টেস্ট ম্য়াচে মোট ৯৯৩ রান করেছেন। ব্যাটিং গড় ৪৭.২৮। এরমধ্যে তিনটে সেঞ্চুরি এবং পাঁচটা হাফসেঞ্চুরি রয়েছে। কিন্তু, তাঁকেই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।
এমনকী ২০১৮-১৯ মরশুমে ভারতীয় ক্রিকেট দল যখন অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিল, সেইসময় প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজ হয়েছিলেন পূজারা। একটা ম্য়াচে তো তিনি ৬ ঘণ্টা ব্যাট করেছিলেন এবং দুই ইনিংসে যথাক্রমে ১২৩ এবং ৭১ রান করেছিলেন। কিন্তু, ২০২৩ বিশ্ব টেস্ট চ্য়াম্পিয়নশিপ ফাইনালের পর থেকেই আর তাঁকে টিম ইন্ডিয়ায় দেখতে পাওয়া যায়নি। এর কারণ অবশ্য কেউ জানেন না।
যেখানে রাহুল অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এখনও পর্যন্ত ৫ টেস্ট ম্য়াচ খেলে মাত্র ১৮৭ রান করেছেন। ব্যাটিং গড়ও পাতে দেওয়ার যোগ্য নয়। মাত্র ২০.৭৭। এখনও পর্যন্ত একটাই শতরান করেছেন তিনি। ২০১৫ সালে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে তিনি সর্বাধিক ১১০ রান করেছিলেন।
সোজা হিসেব, যদি শুভমানকে যশস্বীর সঙ্গে ওপেন করতে পাঠানো হয় এবং তিন নম্বরে খেলেন চেতেশ্বর পূজারা, তাহলে টিম ইন্ডিয়ার সম্মান কিছুটা হলেও বাঁচে। আর রোহিত যেমন মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে নামছেন, সেটাই করতে পারেন। কারণ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে রোহিতের ব্যাটিং গড় (২৭.৮০) এমনিতেও খুব ভাল নয়।
সবথেকে বড় কথা, টিম ইন্ডিয়া বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে আদৌ উঠতে পারবে কি না, তা অনিশ্চিত হয়ে রয়েছে। ফলে এই সিরিজের গুরুত্ব টিম ইন্ডিয়ার কাছে ততটাই বেশি হওয়া দরকার ছিল। যেখানে ঘরের মাটিতে তারা নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ০-৩ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পা রাখে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে ভারতের সবথেকে নির্ভরযোগ্য ব্যাটার কমেন্ট্রি বক্সে বসে ধারাভাষ্য দিচ্ছেন। ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য এরথেকে হাস্যকর আর কীই বা হতে পারে?