বিতর্কে শ্রীনাথ
শেষ আপডেট: 3rd February 2025 13:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সিরিজের পালা চুকেছে। তবু বিতর্কের নটেগাছটি কিছুতেই মুড়োচ্ছে না। বিতর্কের গালভারি নাম: ‘কনকাশন সাব’। সোজা বাংলায় বললে: ম্যাচ চলাকালীন আহত খেলোয়াড়ের তুল্যমূল্য পরিবর্তন। যে পরিবর্তনের শর্ত ভারত মানেনি। এমনটাই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল বিভিন্ন মহলে। সদ্যসমাপ্ত টি-২০ সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে আহত অলরাউন্ডার শিবম দুবের জায়গায় পেস বোলার হর্ষিত রানাকে খেলানোর সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। এরপরই টিম ইন্ডিয়াকে একঘরে নেয় ইংল্যান্ড।
বিতর্কের ধুয়ো তুলেছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার কেভিন পিটারসন। কমেন্ট্রি বক্সে বসেই। আর এবার এক ধাপ উপরে উঠে এই সিদ্ধান্তকে ‘দুর্নীতি’ আখ্যা দিলেন বরিষ্ঠ ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড। জন্মসূত্রে যিনি ইংরেজ।
নিজের এক্স-হ্যান্ডেলে বিতর্কের বিষয়ে মুখ খুলতে গিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ব্রড। আইসিসিকে উদ্দেশ করে বললেও নাম না করে বিসিসিআইয়ের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি। দেগেছেন তোপ—‘ভারত, ইংল্যান্ড ছাড়া তৃতীয় পক্ষের কোনও আধিকারিককে ম্যাচ রেফারিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া উচিত ছিল। তবেই এই ধরনের পরিস্থিতি এড়ানো যেত। আইসিসি কেন ‘পক্ষপাত’ ও ‘দুর্নীতি’তে ভরা কলঙ্কিত অতীতে ফিরে যাচ্ছে?’
প্রসঙ্গত, এই ম্যাচে রেফারির ভূমিকায় ছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় ফাস্ট বোলার জাভাগল শ্রীনাথ। এই বিষয়টিকে সামনে টেনেই বঞ্চনা ও নীতিবিচ্যুতির অভিযোগ দাঁড় করিয়েছেন ব্রড।
Absolutely agree. How can an Indian Match Referee get away with allowing this Indian replacement? Match officials should be independent to omit bias!
— Chris Broad (@ChrisBroad3) February 1, 2025
এর আগে কেভিন পিটারসন দাবি করেছিলেন, শিবমের জায়গায় হর্ষিত কখনও ‘লাইক-ফর-লাইক’ (তুল্যমূল্য) সাবস্টিটিউশন নয়। তাঁর এই বক্তব্যকে জোরালোভাবে সমর্থন জানান স্টুয়ার্ট। বলেন, ‘একেবারেই সহমত। কী করে একজন ম্যাচ রেফারি এই পরিবর্তনের নির্দেশ দেওয়ার পরেও ছাড় পেতে পারেন? আইসিসির শীর্ষ আধিকারিকদের বিষয়টি দেখা উচিত। ম্যাচ রেফারি যেন স্বাধীন হন। তবেই পক্ষপাত দূর করা যাবে।‘
উল্লেখ্য, একই ইস্যুতে দাবি রেখেছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় স্পিনার আর অশ্বিনও। টিম ইন্ডিয়াকে কাঠগড়ায় তোলার বদলে ম্যাচ পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তি, বিশেষ করে রেফারির বিরুদ্ধে তদন্তেরও প্রস্তাব রাখেন তিনি। ‘আজ ইংল্যান্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোনওদিন ভারত ফল ভুগতে পারে।‘—বলে চেতাবনিও দেন অশ্বিন। তাঁর সুরে সুর মিশিয়েছিলেন সুনীল গাভাসকারও। এবার সেই আওয়াজকে আরও চড়া তারে বাঁধলেন ব্রড।
প্রসঙ্গত, স্টুয়ার্ড ব্রড, যিনি নিজে ইংরেজ, গত বছর ওভালে আয়োজিত ইংল্যান্ড বনাম পাকিস্তান ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। সেক্ষেত্রে নিয়মভঙ্গ হয়নি? প্রশ্নের জবাবে অবশ্য অভিজ্ঞ ম্যাচ রেফারি মুখে কুলুপ এঁটেছেন।