শেষ আপডেট: 8th December 2024 19:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো : সৌদি আরবে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের আয়োজন করা হয়েছিল। ভারত ছাড়াও এশিয়া মহাদেশের বেশ কয়েকটি দেশ এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু, ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হয় ভারত এবং বাংলাদেশ। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) আয়োজিত এই ফাইনাল ম্যাচে টিম ইন্ডিয়া ৫৯ রানে হেরে গিয়েছে।
ভারতকে হারিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল যে ইতিহাস রচনা করেছে, তা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে। কারণ আটবারের চ্যাাম্পিয়নকে হারানো তো আর মুখের কথা নয়। কিন্তু, গোটা টুর্নামেন্টে ভাল খেললেও কেন ফাইনাল ম্যাচে প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফরম্যান্স করতে পারল না টিম ইন্ডিয়া? আসুন, সেই ব্যাপারে আলোচনা করা যাক।
ফাইনাল ম্যাচে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৯৮ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল। ওভার প্রতি যদি হিসেব করা যায়, তাহলে ৪-এর থেকেও কম রান করতে হত। কিন্তু, সেটাও ভারত করতে পারল না। এর পিছনে অন্যতম কারণ হল টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং ব্যর্থতা। গোটা টুর্নামেন্ট জুড়েই যদি লক্ষ্য করা যায়, তাহলে ভারতীয় ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টে ধারাবাহিকতার যথেষ্ট অভাব ছিল।
যে বৈভব সূর্যবংশীকে নিয়ে এত মাতামাতি করা হল, আইপিএল নিলামে যে ক্রিকেটারের মূল্য ১ কোটি টাকার উপরে উঠে গেল, ফাইনাল ম্যাচে সেই নিজের নার্ভ ফেল করলেন। এই টুর্নামেন্টের কথাই যদি ধরা যায়, তাহলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিনি ১ এবং জাপানের বিরুদ্ধে ২৩ রান করেছিলেন। এরপর সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এবং শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিনি যথাক্রমে ৭৬ (অপরাজিত) এবং ৬৭ রান করেন। অবশেষে ফাইনাল ম্যাচে তিনি ৯ রানে ফিরে যান।
টিম ইন্ডিয়ার অপর ওপেনার আয়ুশ মাহত্রেও তাই। জাপান (৫৪) এবং আরব আমিরশাহী (৬৭ অপরাজিত) ছাড়া বড় রান করতে পারেননি তিনি। আর বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও মাত্র ১ রান করে তাঁকে ফিরতে হল। আন্দ্রে সিদ্ধার্থ এবং কেপি কার্তিকেয়ও একই রোগের শিকার। তাও জাপানের বিরুদ্ধে কার্তিকেয় একটি হাফসেঞ্চুরি করেছেন। টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক মহম্মদ আমান জাপানের বিরুদ্ধে শতরান (১২২ অপরাজিত) ছাড়া আর বড় রান করতে পারেননি। ফাইনালে মাত্র ২৬ রান করেই তাঁকে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়।
ফলে একথা বলা যেতেই পারে যে ভারতীয় ক্রিকেট দলের এই পরাজয়ের জন্য ব্যাটিং ধারাবাহিকতার অভাব অনেকাংশেই দায়ী। যদি ফাইনাল ম্যাচে অন্তত কেউ একজন ৫০ রান করতে পারতেন কিংবা একটা ৭০-৮০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে উঠত, তাহলেই ম্যাচের ছবিটা একেবারে বদলে যেত। তবে হ্যাঁ, এই ক্রিকেটাররা সবেমাত্র নিজেদের কেরিয়ার শুরু করতে চলেছেন। আগামীদিনে আরও অনেক এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে হবে। এই ভুল থেকে তারা যদি বুনিয়াদী শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে, তাহলে আগামীদিনে সাফল্য আশা করাই যায়।