শ্রেয়স-ধোনি-কোহলি
শেষ আপডেট: 26th March 2025 17:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শ্রেয়স পারলেও আপনারা পারেন না কেন?
শ্রেয়স যদি দলের জন্য নি:স্বার্থ হতে পারেন, তাহলে আপনারা কেন ব্যক্তিগত মাইলস্টোনকে টিমের আগে রাখেন?
গতকালের ম্যাচের পর মহেন্দ্র সিং ধোনি ও বিরাট কোহলিকে উদ্দেশ করে এমনই চাঁচাছোলা প্রশ্ন শানিয়েছেন একদল ক্রিকেট অনুরাগী। তুলে এনেছেন অকাট্য প্রমাণ৷ দুটি এমন ম্যাচ, যাকে সামনে দাঁড় করিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় রব উঠেছে, টিম ইন্ডিয়ার বর্তমান ও প্রাক্তন দুই ক্রিকেটারই আইপিএলের ময়দানে নেমে নিজেদের গরিমাকেই প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন। দলের স্বার্থকে ক্ষুণ্ণ করেছেন।
গুজরাতের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে নেমে বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। মাত্র ৪২ বল খেলে ৯৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি৷ শেষ ওভারে উল্টোদিকে শশাঙ্ক সিংও তখন সংহারক মেজাজে। ১৬ বলে ৪৪ রান করেন তরুণ ক্রিকেটার। ১৯তম ওভারে ব্যাট করছিলেন শশাঙ্ক। এদিকে শ্রেয়স তখন সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৩ রান দূরে৷
লক্ষ্যণীয়ভাবে, সেই সময় শ্রেয়স নিজের শতরানের জন্য স্ট্রাইক চাননি৷ বরং, শশাঙ্ককে হাত খুলে খেলার জন্য উৎসাহ দিয়ে যান। ম্যাচ শেষে শশাঙ্ক নিজেও একথা স্বীকার করে বলেন, ‘শ্রেয়স আমায় বলছিল কোনওকিছু চিন্তা না করে মেরে যাও৷’ নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯৭ রানেই ক্ষান্ত হন পাঞ্জাব অধিনায়ক।
আর এই ঘটনাকেই সামনে টেনে অনেকে ধোনি ও কোহলিকে একযোগে বিঁধেছেন। তুলনায় উঠে এসেছে পুরোনো আইপিএল ম্যাচ। ২০১৯ সাল। প্রতিপক্ষ কেকেআর। ওই ম্যাচে অন্তিম ওভারে ব্যাট করছিলেন অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার মার্কাস স্টোইনিস। শট মারার পর দু’রান নেওয়ার লক্ষ্যে দৌড়ে যান তিনি৷ কিন্তু ক্রিজের উল্টোদিকে দাঁড়ানো বিরাট এক রান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকেন। তারপর ৫৮তম বলে সেঞ্চুরি করেন তিনি৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দানা বাঁধে৷ অনেকেই সে সময় প্রশ্ন তোলেন: দলের চাইতে নিজের মাইলস্টোনকেই কি এগিয়ে রাখলেন বিরাট?
একই রকম ইস্যু মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ঘিরেও তৈরি হয়৷ দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ম্যাচে ৪৯ রানে অপরাজিত ছিলেন সিএসকের তৎকালীন অধিনায়ক৷ সেই সময় ট্রেন্ট বোল্টের ডেলিভারিতে ঝুঁকিপূর্ণ সিঙ্গল নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি৷ যার ফলে আউট হন নন স্ট্রাইকার এন্ডে দাঁড়ানো আম্বাতি রায়াডু।
এই দুই কারণে শ্রেয়সের নি:স্বার্থ ইনিংসের পর ‘স্বার্থপর’ তকমায় বিদ্ধ হচ্ছেন দুই ক্রিকেট তারকা।