শেষ আপডেট: 24th January 2025 19:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো : ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেহওয়াগের বৈবাহিক সম্পর্কে নাকি চিড় ধরেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাত থেকেই এই খবরে তোলপাড় গোটা সোশ্যাল মিডিয়া। শোনা যাচ্ছে, প্রায় ২০ বছরের সম্পর্ক নাকি ইতিমধ্যে ভাঙনের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। যদিও দুজনের কেউই এই ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত একটাও কথা বলেননি। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, যদি সত্যিই বীরেন্দ্র এবং আরতির মধ্যে বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়, সেক্ষেত্রে সেহওয়াগকে আনুমানিক কত টাকা খোরপোষ দিতে হবে।
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, বীরেন্দ্র সেহওয়াগের মোট সম্পত্তির পরিমাণ আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকা। প্রায় ১৪ বছর ভারতীয় ক্রিকেট দলের জার্সিতে খেলেছেন তিনি। অর্জন করেছেন আকাশছোঁয়া সাফল্য। ২০১১ সালে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয় তো রয়েইছে, সঙ্গে ঝুলিতে আছে একাধিক খেতাব। ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে অন্য়তম সেরা ব্যাটার তিনি। আর সেকারণেই সমর্থকরা তাঁকে ভালোবেসে 'নজফগড়ের নবাব' বলে ডাকেন।
এমনকী ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পরও ধারাভাষ্যকার এবং ম্যাচ বিশেষজ্ঞ হিসেবেও কাজ করেছেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। একাধিক বিজ্ঞাপনেও তাঁর মুখ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। বর্তমানে হরিয়ানায় টিম ইন্ডিয়ার এই প্রাক্তন ক্রিকেটারের নামেই একটি স্কুল রয়েছে। সেহওয়াগ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। ৩০০ কোটি টাকার পাহাড় প্রমাণ সম্পত্তির পাশাপাশি রয়েছে BMW 7-সিরিজের একটি গাড়ি। যার দাম আনুমানিক ১.৭০ কোটি টাকা। এছাড়া রয়েছে একটি বেন্টলি কন্টিনেন্টাল ফ্লাইং স্পার। এর দাম ৩ কোটি টাকার কাছাকাছি।
এখানেই শেষ নয়। দক্ষিণ দিল্লিতে ১৩০ কোটি মূল্যের একটি বিলাসবহুল প্রাসাদে বাস করেন নজফগড়ের নবাব বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। ফলে দেশের যে অন্যতম বিত্তবান ক্রিকেটার তিনি, তা নিয়ে কোনও সন্দেহই থাকতে পারে না। এই পরিস্থিতিতে যদি সত্যিই বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়, তাহলে আরতি অহলাওয়াত কত টাকা পাবেন, সেটা একমাত্র সময়ই বলতে পারবে।
উল্লেখ্য, আরতি অহলওয়াল এবং বীরেন্দ্র সেহওয়াগ একে অপরের আত্মীয় ছিলেন। সেহওয়াগের দাদার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল আরতির পিসির। সেই সম্পর্ক অনুসারে, বীরেন্দ্র আরতির পিসির দেওর হয়েছিলেন। যদিও এই বিয়ের সময় আরতি এবং সেহওয়াগ দুজনেরই বয়স যথেষ্ট কম ছিল। সেহওয়াগের বয়স ছিল মাত্র ৭ বছর এবং আরতির ৫। সম্প্রতি একটি ইন্টারভিউয়ে আরতির দিদি এই কথাটা ফাঁস করে দেন। ১৪ বছর বন্ধুত্বের পর ২০০২ সালে শেষপর্যন্ত সেহওয়াগ প্রোপজ করেছিলেন আরতিকে।
২০০৪ সালে তাঁরা সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন। সেইসময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ছিলেন অরুণ জেটলি। দিল্লির ৯ অশোকা রোডে অবস্থিত তাঁর বাড়িতেই বিয়ের যাবতীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। ২২ এপ্রিল সেহওয়াগের জীবনে শুরু হয় এক নতুন ইনিংস। বর্তমানে বীরেন্দ্র এবং আরতির পরিবারে দুই সন্তান রয়েছে। বড় ছেলের নাম আর্যবীর, ছোটটার নাম বেদান্ত। দুজনেই দিল্লির হয়ে বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলেন। গত নভেম্বর মাসে আয়োজিত একটি ম্য়াচে আর্যবীর ২৯৭ রানে একটি ইনিংস খেলেছিলেন।