গৌতম গম্ভীর
শেষ আপডেট: 6 May 2025 19:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কোচ হিসেবে তাঁর রক্ষণাত্মক রণকৌশল নিয়ে সমালোচকেরা প্রশ্ন তুলেছেন। এবার সেই সমালোচকদেরই আক্রমণাত্মক মেজাজে তুলোধনা করলেন গৌতম গম্ভীর।
আগে অবশ্য অনেকবারই তাঁকে রণং দেহী মেজাজে দেখেছে ক্রিকেটবিশ্ব। বিশেষ করে সাংবাদিক বৈঠকে অস্বস্তিকর প্রশ্নের জবাব চাঁচাছোলা ভাষায় দিয়েছেন গম্ভীর। কিন্তু আজকের মতো রুষ্ট, আজকের মতো বিস্ফোরক মেজাজে তাঁকে আগে দেখা যায়নি!
একটি সাক্ষাৎকারে বর্ডার-গাভাসকার ট্রফির ব্যর্থতা, তাঁর কোচিং কেরিয়ার এবং খেলোয়াড় হিসেবে পারফরম্যান্স নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন করা হয়। সেখানে স্বভাবসিদ্ধ ধাঁচেই সমস্ত সওয়াল বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়েছেন গম্ভীর।
কেকেআরকে আইপিএল জেতানোর পর টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচের দায়িত্ব তুলে নেন গম্ভীর। সেই নিয়ে শুরুতে বিতর্কও কম হয়নি। বিশেষ করে, রাহুল দ্রাবিড়ের জায়গায় মসনদে বসেছিলেন তিনি। বিদায়ী কোচ তখন সদ্য বিশ্বকাপ জিতে সরে গিয়েছেন। ফলে চাপ ছিল বিস্তর।
এই নিয়ে অকপট গম্ভীরের বক্তব্য, ‘যখন দায়িত্ব নিয়েছিলাম, জানতাম অনেক চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। আর আমার কাজ দেশকে গর্বিত করা, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কমেন্ট্রি বক্সে বসে থাকা কয়েকজন বাছাই করা বিশেষজ্ঞদের তুষ্ট করা নয়।‘
২০০৭ সালের টি-২০ বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম কাণ্ডারী গম্ভীর। চার বছর বাদে দেশের মাটিতে টিমকে খেতাব জেতাতে বিশেষ ভূমিকা নেন তিনি। খেলোয়াড় হিসেবে হাতে তুলেছিলেন ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও। সেই নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রাইজ মানি নিয়ে সমালোচকদের টার্গেট হয়ে ওঠেন। সেই প্রসঙ্গে গম্ভীরের ব্যাখ্যা, ‘ওরা আমার আর্থিক পুরস্কার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল। এই প্রবাসীরা দেশের টাকায় খায়, তারপর ট্যাক্স বাঁচাতে দেশের বাইরে চলে যায়।‘
কোচিং নিয়ে তিনি কাদের কাছে দায়বদ্ধ সেই বিষয়টিও স্পষ্ট করে দিয়েছেন গম্ভীর। বলেছেন, ‘আমি কোনও ছোট ক্লাব বা দলের কোচ নই। রাজনীতিতে বিশ্বাসী করি না। আমি এমন দল গড়তে চাই, যারা ভয়হীন ক্রিকেট সম্মানের সঙ্গে খেলতে চায়!’
এরপর আরও একধাপ সুর চড়িয়ে টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ বলে দেন, ‘ধারাভাষ্যকারদের বুঝতে হবে, ক্রিকেট কারও বাপের সম্পত্তি নয়। এটা একান্তভাবে দেশের জনগণের। এরা বিদেশে গিয়ে এনআরআই হয়। আমি দেশে থাকি, ট্যাক্স দিই।‘