সুনীল গাভাসকার
শেষ আপডেট: 7th March 2025 16:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফাইনালের আগে পুরোপুরি দুর্ভেদ্য নয় টিম ইন্ডিয়ার দুর্গ। রয়েছে উন্নতির অবকাশ, সংশোধনের সুযোগ। টানা সাতটি ওয়ান ডে ম্যাচে জয়, যার মধ্যে চারটে এসেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। তা সত্ত্বেও রোহিতরা নিখুঁত নন। মত প্রাক্তন ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকারের।
এই প্রেক্ষিতে দলের এমনই তিনটি গলদ তুলে ধরেছেন তিনি। যার মধ্যে একটি হচ্ছে ওপেনিং জুটি সংক্রান্ত, অন্যটি বল হাতে ওপেনিং স্পেল নিয়ে। আর তিন নম্বর ত্রুটি মিডল অর্ডারকে ঘিরে।
ইতিমধ্যে চাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গ্রুপের লড়াইয়ে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছেন রোহিতরা। সেমিতে অস্ট্রেলিয়াকে পরাস্ত করে বিশ্বকাপের বদলা নেওয়াও শেষ। ফাইনালে সামনে নিউজিল্যান্ড। খেলা দুবাইয়ে। যেখানকার আবহাওয়া ও পিচের চরিত্রের সঙ্গে ধাতস্থ হয়ে উঠেছে ভারত। তবু বিরাটদের পারফরম্যান্স নিয়ে খুশি নন গাভাসকার।
তিনি বলেন, ‘যদি আপনি ওপেনারদের দিকে তাকান, তাহলেই বুঝবেন তারা প্রত্যাশামাফিক শুরু করতে পারেনি। এতগুলো ম্যাচের একটিতেও এটা হয়নি। তাই এটা নিঃসন্দেহে বড় ফাঁক। দ্বিতীয়ত, নতুন বলে প্রথম ১০ ওভারেও তেমন আঘাত দিতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। অবশ্যই শুরুতে বিপক্ষের ২ থেকে ৩টি উইকেট ফেলা উচিত। সেটাও হচ্ছে না। তৃতীয়ত, মিডল ওভারে সেভাবে সাফল্য পাচ্ছেন না বোলাররা। রান আটকে দিচ্ছেন, কিন্তু উইকেট পড়ছে না। তাই ফাইনালের আগে এই জায়গাগুলো সংশোধন করা উচিত। এইসমস্ত ভুল ঠিক করে নিলে ভারতের ফাইনালে জেতার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।‘
গ্রুপের লড়াইয়ে প্রথম দুটি ম্যাচে তিন স্পিনারের ফর্মুলা নিয়ে এগোলেও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে চার স্পিনার নিয়ে মাঠে নামেন রোহিতরা। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালেও চার স্পিনারই খেলেছিলেন। ফাইনালেও কি একই রণকৌশল বজায় রাখা উচিত? গাভাসকারের ভোট চার স্পিনারে। যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, ‘এখন বদলের মানে কী? বরুণ চক্রবর্তী এবং কুলদীপ জায়গা পাওয়ার পর বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁরা কতটা কার্যকরী হতে পারেন। উইকেট নেওয়া বল সেরা ডট বল, ক্রিকেটের যে কোনও ফরম্যাটে এটা সত্যি। ভারতের স্পিনাররা এটাই করছেন। তাই এটা পরিবর্তনের কোনও দরকারই নেই।‘