শেষ আপডেট: 6th March 2025 10:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো: খেলল পিএসজি, জিতল লিভারপুল। এককথায় এই হচ্ছে গতকাল দুই দলের মহারণের নির্যাস।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল প্যারিস ও লন্ডনের ক্লাব দুটি। ঘরের মাঠে প্রথম লেগ। তাই শুরু থেকেই তেতেছিল লুই এনরিকের টিম। ইউরোপের ময়দানে শেষ পাঁচটি ম্যাচে ২১ খানা গোল করেছেন ডেম্বেলেরা। অন্যদিকে মো সালাহ, লুইজ দিয়াজদের ভাল ফর্মের সুবাদে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছে লিভারপুল টিম। তাই দু'তরফেই গোলের ফুলঝুরি আশা করেছিলেন সমর্থকেরা। কিন্তু নব্বই মিনিটের লড়াইয়ের পর পরিসংখ্যান বলছে, ম্যাচটা যতটা সেয়ানে-সেয়ানে হবে বলে মনে করা হচ্ছিল, ততটা হাড্ডাহাড্ডি হয়নি। যেখানে পিএসজি ২৮টা গোলমুখী শট নিয়েছে, লিভারপুল নিয়েছে মাত্র ১টি। আর তাতেই গোল। সেটাও ম্যাচ শেষের তিন মিনিট আগে। গোলদাতা হার্ভি এলিয়ট। যিনি সালাহর পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামেন।
ম্যাচের অন্তিম লগ্নে গোল খেয়ে সেকেন্ড লেগে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় পরের লেগ খেলতে অ্যানফিল্ডে নামবে দল৷ উপরন্তু প্রথমার্ধে খাভিচা কাভারৎস্কেলিয়ার গোলও অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। যেটা না হলে শেষ স্কোরলাইন অন্যরকম হতেই পারত। যে কারণে সাংবাদিক সম্মেলনে দৃশ্যতই হতাশ ছিলেন এনরিকে। স্প্যানিশ কোচ বলেন, ‘অবশ্যই আমরা জেতার দাবিদার। প্রচুর সুযোগ তৈরি করেছিলাম৷ কিন্তু কাজে লাগাতে পারিনি। ফুটবল অনেক সময় এমনই নির্মম। আর আমাদের সেটা মেনে নিতেই হবে।’
অন্যদিকে জিতেও নাখুশ লিভারপুল কোচ আর্নে স্লট। ডাচ ম্যানেজারের সাফ বক্তব্য, ‘জয় নিয়ে ফিরে যাওয়াটা সত্যি বলতে আমাদের প্রাপ্যের চাইতে কিছুটা বেশিই।’
অন্য একটি লড়াইয়ে মুখোমুখি হয় জার্মানির দুই ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ ও বায়ার্ন লেভারকুসেন। জাবি অলোন্সোর টিম বায়ার্নের আলিয়ান্স এরিনার ম্যাচে সেভাবে হুল ফোটাতেই পারেনি৷ কী কারণে এবারের বুন্দেশলিগায় এক নম্বর দল বায়ার্ন, সেটা নব্বই মিনিটের পারফরম্যান্সে বুঝিয়ে দেয় ভিনসেন্ট কোম্পানির টিম। দুটি গোল করেন ইংল্যান্ডের স্ট্রাইকার হ্যারি কেন। অপর গোলদাতা জার্মানির জামাল মুসিয়ালা। এই জয়কে গত দু'বছরের খারাপ পারফরম্যান্সের প্রতিক্রিয়া বলে ব্যাখ্যা করেছেন কেন। অন্যদিকে ঘরের মাঠে সেকেন্ড লেগে নামার আগে ‘মির্যাকেলে'র প্রার্থনা শোনা গেল অলোন্সোর গলায়।
এদিনের অন্য একটি খেলায় প্রত্যাশিতভাবেই বেনিফিকাকে হারিয়েছে বার্সেলোনা। ডিফেন্ডার কুবার্সি ২২ মিনিটের মাথায় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার পর বাকি সময় দশ জনে খেলে হান্সি ফ্লিকের টিম। তবু চেষ্টা সত্ত্বেও সমতা ফেরাতে পারেনি বেনফিকা। আরেকটি ম্যচে ফেয়েনুর্ডকে দু'গোলে পরাস্ত করেছে ইন্টার মিলান।