ধোনি-অশ্বিন
শেষ আপডেট: 17th March 2025 13:25
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তিনি সব দেখেছেন। কীভাবে ‘আইপিএল’ নামক একটি সুনামি দেশের ক্রিকেট মানচিত্রের আসমুদ্রহিমাচল নাড়িয়ে দিয়ে গেল, খেলার বাণিজ্যিকরণের নতুন সংজ্ঞা দিল লিখে, বদলে গেল ‘ফ্র্যাঞ্চাইজি’র নীতি-আদর্শ—সবকিছুর সাক্ষী রবিচন্দ্র অশ্বিন। আর নিজের ১৬তম মরশুমে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ফের খেলতে নামার আগে আবগাপ্লুত ‘ঘরের ছেলে’। সিএসকে তাঁর কেরিয়ারে কী ও কেন—জানানোর পর কামব্যাকের সমস্ত কৃতিত্ব দিতে চাইলেন একসময়ের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে।
উপলক্ষ ছিল প্রাক্তন ক্রিকেটার কৃষ্ণামাচারী শ্রীকান্তের একটি বই প্রাকশ। মোড়ক উন্মোচনের সেই মঞ্চে নিজের আইপিএল যাত্রা নিয়ে খোলাখুলি বেশ কিছু কথা তুলে ধরেন অশ্বিন। জানান, দুনিয়া বদলেছে, ক্রিকেটের নকশা পাল্টেছে। কিন্তু সিএসকে-র ডিএনএ রয়েছে ঠিক আগেরই মতো। জাতীয় দল থেকে অবসর নেওয়া স্পিনার বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে সেই ২০১১-তেই ফিরে গেছি। এর মধ্যে সিএসকের রূপ বদলেছে। কিন্তু আজও আগের বেশ কিছু বিষয় ধরে রেখেছে তারা।‘
এরপর নিজের মন্তব্যকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অশ্বিন বলেন, ‘এখন কর্পোরেটাইজেশনের যুগ। এখন ব্যাবসা চালাতে গিয়ে কেউ ক্ষতির মুখ দেখতে চায় না। বেশ কিছু বিষয় বদলেছে, রূপান্তর ঘটেছে। যদিও সিএসকে-তে এসে আমার মনে হচ্ছে সবকিছু রয়েছে আগের মতো। সিএসকের মূল কথাই হচ্ছে ক্রিকেট। একটি ক্রিকেট দলকে পরিচালনা করা ও সাফল্য অর্জনের মূলমন্ত্রই হচ্ছে সমস্ত বিষয় ক্রিকেট-কেন্দ্রিক রাখা।‘
২০০৯ সালে চেন্নাইয়ের হয়ে আইপিএলে অভিষেক হয় অশ্বিনের। তারপর দু’বছর (২০১০, ২০১১) দু’টো খেতাব জয় করে সিএসকে। সাফল্য পেয়েও দল ছাড়েন অশ্বিন। প্রথমে চেন্নাই কিংস, তারপর রাইজিং পুনে সুপারজায়েন্টস, দিল্লি ক্যাপিটালস এবং রাজস্থান রয়্যালস ঘুরে বছর আটত্রিশের স্পিনার ফিরে এসেছেন প্রথম আস্তানায়।
কীসের টানে ফের ঘরে আসা? জবাবে অশ্বিন জানান, ‘মরশুমি তারকা’ হিসেবে সিএসকে যোগ দিচ্ছেন না তিনি। কামব্যাক করছেন স্রেফ ক্রিকেটকে ভালবেসে। আর এই সূত্রেই নাম করেছেন এক নেপথ্যচারীর। তিনি মহেন্দ্র সিং ধোনি। এখন অধিনায়কের ব্যাটন হাতে নেই। তবু ধোনিই যে তাঁকে ফিরিয়ে এনেছেন, তা দ্বিধাহীন গলায় জানিয়েছেন ‘অ্যাশ’। বলেছেন, ‘১০০তম টেস্টে আমায় মেমেন্টো দেওয়ার জন্য ধোনিকে ধর্মতলা আসতে বলেছিলাম। তখন ভেবেছিলাম ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওই ম্যাচ খেলেই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানাব আমি। দুর্ভাগ্যবশত ধোনি আসতে পারেননি। যদিও তখন বুঝতে পারিনি মেমেন্টোর চাইতেও বড় উপহার সিএসকে-তে ফিরিয়ে এনে আমায় দিতে চলেছেন তিনি। সত্যি বলতে এটা আরও ভাল উপহার। তাই ধন্যবাদ ধোনি।‘