রশিদ লতিফ
শেষ আপডেট: 9th March 2025 18:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ‘আনফেয়ার অ্যাডভান্টেজ’, বাংলায় বললে ‘অনৈতিক সুবিধা’ আপাতত চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির হট টপিক। ভারত দুবাইয়ে খেলার জেরে একটি মাঠেই তাদের সমস্ত ম্যাচে নেমেছে। ফলে রোহিত শর্মাদের সেভাবে যাতায়াত করতে হয়নি। বাকি দলগুলি পাকিস্তানের একাধিক শহরে ঘুরে ঘুরে খেলেছে। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা তো প্রতিপক্ষ কে, সেটা আগাম বুঝতে না পেরে সেমিফাইনালের আগে পাকিস্তান থেকে দুবাই পর্যন্ত চলে আসে। কারণ ভারত তাদের ম্যাচ জিতলে এই দুই দলের যাদের সামনে পড়ত, সেই খেলা আয়োজিত হত দুবাইয়ে।
এই সূত্রে প্রথম টিম ইন্ডিয়া তাদের পয়লা নম্বর ম্যাচ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জেতার পর ইংল্যান্ড মিডিয়া ও খড়্গহস্ত হয়ে ওঠে। মাইকেল আথারটন, নাসের হুসেন—প্রত্যেকে একবাক্যে স্বীকার করেন, ভারতকে আইসিসি অবৈধ সুবিধা দিয়েছে। পিচের কন্ডিশন থেকে শুরু করে যাতায়াতের ঝঞ্ঝাট এড়ানো—সবেতেই অ্যাডভান্টেজ পেয়েছেন বিরাটরা।
যদিও ইংরেজদের এই অভিযোগকে পুরোপুরি নস্যাৎ করলেন প্রাক্তন পাকিস্তান খেলোয়াড় রশিদ লতিফ। তাঁর বক্তব্য—পাকিস্তান এই নিয়ে অভিযোগ করলে তাও না হয় মানা যায়, কিন্তু ইংল্যান্ডের কিছু বলার কোনও মানে নেই। প্রাক্তন ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের এই বিতর্কে যোগ দেওয়া লতিফের চোখে ‘যার বিয়ে তার হুঁশ নেই, পাড়াপড়শির ঘুম নেই’-এর মতো ব্যাপার!
কিন্তু কেন পাকিস্তানের অভিযোগের জায়গা আছে? রশিদের বক্তব্য বেশ অদ্ভুত। তিনি বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানি হিসেবে ঈর্ষার জেরে ভারতের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলতেই পারি। কিন্তু বাকিদের এই নিয়ে কাঁদুনি গাইবার জায়গাই নেই।‘ কেন নেই? রশিদের যুক্তি, যেহেতু টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সমস্ত দলকে নিয়ে বৈঠক বসেছিল, সেখানে তাদের এই বক্তব্য রাখতে হত। এখন মরাকান্না গাইবার কী মানে!
যদিও সূচি নিয়ে আইসিসিকে তুলোধনা করেছেন প্রাক্তন পাক খেলোয়াড়। তিনি বলেন, ‘শনিবার, ২ মার্চ, ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুবাইয়ে খেলে। এর একদিন আগে করাচিতে ইংল্যান্ড দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়। দুটি ম্যাচে একই দিনে হলে সেমিফাইনালের লাইন আপ সহজে নির্ধারণ করা যেত।‘