
বসুন্ধরার বিপক্ষে ড্র, ডেভিডের গোলে এএফসি কাপের শেষ চারে এটিকে-মোহনবাগান
এই এটিকে মোহনবাগান পিছিয়ে থাকলে ভয়ঙ্কর, সেইভাবে মানসিকতা তৈরি করেছেন কোচ হাবাস। যদিও প্রথমার্ধের ২৮ মিনিটে বাংলাদেশের বসুন্ধরা গোল করে ম্যাচে এগিয়ে গিয়েছিল। সেইসময় ওপার বাংলার দলের পক্ষে জোনাথন ফার্নান্দেজ দূরপাল্লার শটে গোল করে যান। তখন সবুজ মেরুন রক্ষনকে কেমন অগোছালো মনে হয়েছে।
বিরতির পরে অন্য দল হিসেবে দেখা দিল এটিকে মোহনবাগান। ড্র করলেই এএফসি কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে যাবে এটিকে মোহনবাগান, এমনই ছিল অঙ্ক, ঠিক সেটাই ঘটল। তবে বাংলাদেশের শক্তিশালী প্রতিপক্ষ বসুন্ধরা কিংসের কাছে জয়ই একমাত্র দরকার ছিল, সেটি তারা পেল না। তবে এএফসি কাপের প্রথম অভিযানে তাদের পারফরম্যান্স খারাপ নয়।
এই ম্যাচে হাবাস পাননি দলের নিউক্লিয়াস হুগো বৌমাসকে। তিনি কার্ড সমস্যার কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন। তবে বসুন্ধরার সুশান্ত লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যাওয়ার পরে বাংলাদেশের দলটি বিরতির পরে দশ জনে খেলে। তার সুবিধে সেরকম নিতে পারেনি রয় কৃষ্ণরা, তা হলে তো গোলের সংখ্যা বাড়ত। জিতে মাঠ ছাড়লে আরও বেশি গৌরবের হতো।
এর আগের দুটি ম্যাচে সহজে জিতেছিলেন রয় কৃষ্ণরা। গ্রুপের শেষ ম্যাচটি হালকাভাবে নিয়েছিলেন তাঁরা। সেটি দেখেই বোঝা গিয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশের এই মুহূর্তে সেরা দলের বিপক্ষে দলের কৌশল ঠিকভাবে সাজাতে পারেননি কোচ। দলের দুটি প্রান্তের দৌড় দেখা যায়নি, মাঝমাঠেও খেলা তৈরি হয়নি। যে কারণে রয় কৃষ্ণদের গোলের মতো পরিস্থিতি বেশি তৈরি হয়নি।
হুগো না থাকার কারণে মাঝমাঠের মধ্যে সেই সমঝোতা ছিল না। তবে লিস্টন, লেনি ভাল খেলেছে। গোলের জন্য সবাই তাকিয়ে রয়ের দিকে, কিন্তু ডেভিড আসল সময়ে গোল করে নায়ক বনে গিয়েছেন।
এটিকে মোহনবাগান: অমরিন্দর সিং, আশুতোষ মেহতা, কার্ল ম্যাকহুগ, ডেভিড উইলিয়ামস, মনবীর সিং, শুভাশিস বোস, প্রীতম কোটাল, রয় কৃষ্ণ, লিস্টন কোলাসো, দীপক টাংরি, লেনি রডরিগেজ।