অভিষেক শর্মা
শেষ আপডেট: 3rd February 2025 15:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চেয়ার একটি। প্রতিযোগী তিনজন। জাতীয় ক্রিকেট দলের ওপেনে নামা নিয়ে অলক্ষ্যে লড়াইয়ে নেমেছেন যশস্বী জয়সওয়াল, শুভমন গিল এবং অভিষেক শর্মা। যদিও গতকাল ওয়াংখেড়েতে ঝড় তোলা যুবরাজ সিংয়ের মন্ত্রশিষ্য অভিষেক সাফ জানালেন, কোনও বিরোধ নেই তিনজনের মধ্যে। তাঁদের প্রত্যেকের লক্ষ্য একটাই। আর সেটা দলকে জেতানো, টিমের পাশে থাকা।
আরবপাড়ে ইংল্যান্ড নিধন সেরে ফুরফুরে মেজাজে অভিষেক। ১৩৫ রানের ঝোড় ইনিংসে ভেঙে ফেলেছেন একাধিক রেকর্ড। তার মধ্যে একটি ছিল শুভমনের দখলে। কোনও টি-২০ ম্যাচে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের গৌরব এখন শুভমন গিলের বদলে অভিষেকের হাতে। প্রথম পাওয়ার প্লে-তে (৬ ওভারে) ৫৮ রান তোলেন তিনি, যা কিনা ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ। এগারোতম ওভারের প্রথম বলে সেঞ্চুরির কোঠাও ছুঁয়ে ফেলেন অভিষেক। এত আগে কেউ টি-২০ ক্রিকেটে সেঞ্চুরি হাঁকায়নি।
যদিও এতকিছুর পরেও নিজেকে এগিয়ে আর বাকি দুজনকে পিছিয়ে রাখতে নারাজ অভিষেক। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ ভালো যায়নি তাঁর। তবু হাল ছাড়েননি। পাশে থেকেছেন কোচ গৌতম গম্ভীর, টি-২০-র অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব এবং মেন্টর যুবরাজ সিং। অভিষেক বলেন, ‘গতকাল বিসিসিআই অ্যাওয়ার্ডে যশস্বী, শুভমনের সঙ্গে দেখা হল, কথা হল। ওদের অনূর্ধ্ব-ষোলোর দিন থেকে চিনি। আমাদের একটাই লক্ষ্য ছিল—দেশের হয়ে খেলা। আর সেটা বাস্তবায়িত হয়েছে। এর চেয়ে সুখকর অনুভূতি কিছু হতে পারে না।‘
ম্যাচ চলাকালীন ‘রণং দেহী’ মেজাজে ধরা দেন অভিষেক। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি জানান, ‘আমি প্রতিটি বল মারার মতো জোনে চলে গেছিলাম। জানতাম না কত রান করেছি। অধিনায়ককে জিজ্ঞেস করি, তুমি কী বলো? কীভাবে খেলব? সূর্যকুমার আমায় বলেন, একটা উইকেট পড়েছে। তাই তুমি সময় নাও। দুটো বল খেলে ধাতস্থ হও। কিন্তু সেই সময় জানতাম না দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ে ফেলেছি আমি।‘
সূর্যকুমারের মতো হার্দিক পান্ডিয়াও তাঁকে একই উপদেশ দেন বলে জানিয়েছেন অভিষেক। ‘যেহেতু উইকেট পড়ছে, তাই তোমার বুঝেশুনে খেলা উচিত। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা উচিত। অক্ষরও একই কথা বলেন। এঁরা তিনজনই ভারতের হয়ে খেলেছেন। সিনিয়ররা বললে কথা শুনতে হয়। তাই আমি এঁদের কথা মেনে ইনিংস সাজিয়েছি।‘
যশস্বী প্রত্যাশিতভাবেই প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন যুবরাজকে। ‘যখন যুবরাজের মতো একজন কেউ তোমায় বলেন যে, তুমি দেশের হয়ে খেলবে, ম্যাচ জিতবে, তখন তোমার সেই কথাগুলো বিশ্বাস করা আর নিজেকে নিংড়ে দেওয়া উচিত। আমি প্রতিটা ম্যাচ খেলে যুবরাজকে ফোন করি। আমি ওঁর সমস্ত কথা মেনে চলি। আমি যতটা না নিজেকে চিনি, উনি তার চেয়েও ভাল করে আমায় চেনেন।‘
যুবরাজ আকরিক থেকে হিরে বানিয়েছেন। গতকাল যার আলোয় উপচে পড়ে ওয়াংখেড়ের প্রতিটি কোণ।