মোষ উপহার পেলেন পাকিস্তানের সোনাজয়ী নাদিম।
শেষ আপডেট: 11th August 2024 23:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সারা পাকিস্তানকে গর্বিত করেছেন জ্যাভলিন থ্রোয়ার আর্শাদ নাদিম। তিনি প্যারিস অলিম্পিক্সের ফাইনালে ছুড়েছেন ৯২.৯৭ মিটার। সোনা জয়ের পরে রবিবারই সকালে মূলতানে পা রেখেছেন নাদিম।
পাক সরকার তাঁর গ্রামে একটি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। যাতে তিনি নিভৃতে অনুশীলন করতে পারেন। তাঁকে দুই কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা করবে বলে জানানো হয়েছে। নাদিম এদিন বলেছেন, তিনি চান গ্রামের রাস্তা ভাল হোক, আর গ্রামে যেন বিদ্যুৎ সরবরাহ ভাল হয়।
পাকিস্তানে পৌঁছানোর পরে নাদিমকে শুভেচ্ছার বন্যায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে যা পারছেন, উপহার হিসেবে দিচ্ছেন তাঁকে। পাকিস্তানের প্রথম কেউ অলিম্পিক্সে সোনা এনেছেন। তারমধ্যেই নাদিমের শ্বশুরমশাই মহম্মদ নওয়াজ এদিন গর্বের জামাইকে একটি মোষ উপহার দিয়েছেন। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার ট্রেন্ডিংও চলছে।
কেন কী কারণে নানা মূল্যবান সামগ্রী থাকতে নাদিমকে মোষ উপহার দেওয়া হল, সেই নিয়ে কৌতূহলও রয়েছে। নাদিমের শ্বশুরমশাই মিডিয়া প্রতিনিধিদের বলেছেন, ‘‘পাকিস্তানে মোষ হল শুভের প্রতীক। কেউ কোনও গর্বের কাজ করলে তাঁকে মোষ উপহার দেওয়া হয়। এতে তাঁকে সম্মান, স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। এমনকী তাঁর পরিশ্রম, সততা ও ত্যাগের প্রতীক হিসেবে সম্মান জানানো হয়।’’
নওয়াজের চার ছেলে ও তিন মেয়ে। ছোট মেয়ে আয়েষাকে বিয়ে করেছেন পাক জ্যাভলিন থ্রোয়ার। নাদিমের আবার দুই ছেলে ও এক কন্যা রয়েছে। গর্বিত শ্বশুরমশাই জামাতা নাদিমের প্রশংসা করে বলেছেন তাঁর জামাই খুব শান্ত ও ধীরস্থির। এমনকী নিজের গ্রামের মানুষদের ভোলেনি। গ্রামে অনেককিছু অভাবের মধ্যেও শিঁকড়কে ভোলেননি আর্শাদ। ‘‘যখন আমার মেয়ের সঙ্গে ওর বিয়ে হয়, সেইসময় সামান্য একটা চাকরি করত। কিন্তু অ্যাথলেটিক্সের নেশা ওর বরাবর। গ্রামের মাঠে নিজে নিজেই বর্শা ছুড়ত। এই করেই ওর উত্থান। আজ আমার জামাইয়ের জন্য পুরো পাকিস্তান গর্ববোধ করছে।’’ জানিয়েছেন আয়েষার বাবা।