দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফের তীরে আসা। ফের তরী ডোবা। নাগালে এসেও খেতাব হাসিল করতে না পারার যন্ত্রণা বুকে চেপেই এবারের অভিযান শেষ করতে হবে আর্সেনালকে। ঘরোয়া মরশুমে একটিও ট্রফি ক্যাবিনেটে ঢোকেনি। প্রিমিয়ার লিগ ৮০ পয়েন্টেই জিতে নিয়েছে লিভারপুল। ক্ষীণ আশা ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগে। সেটাও নিভে গেল গতকাল রাতে। পিএসজির কাছে হেরে (দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১) বিদায় নিল গানার্সরা।

প্রথম লেগে ঘরের মাঠে পরাস্ত হতে হয়েছিল। উসমান ডেম্বেলের একমাত্র গোলে গত সপ্তাহের লড়াইয়ের ফয়সালা হয়। লড়াইয়ে টিকে থাকতে গেলে এক গোলের ব্যবধানে জিততেই হত। কিন্তু প্রথমার্ধে ফাবিয়ান রুইজ গোল করার পর কামব্যাকের আশা জোর ধাক্কা খায়৷ ২৭ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন স্পেনীয় মিডফিল্ডার। খলনায়ক টমাস পার্টে। ঠিকমতো বল ক্লিয়ার করতে পারেননি। যার ফায়দা নেন রুইজ।

ফার্স্ট হাফে পিছিয়ে গেলেও রুখে দাঁড়ায় আর্সেনাল। ডেকলান রাইসের হেডার অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। মার্টিনেলি ও ওডেগার্ডের শট দুর্দান্ত সেভ করে পিএসজির লিড ধরে রাখেন ইতালীয় গোলরক্ষক ডোনারুমা। লিভারপুলের যাত্রাভঙ্গ করেছিলেন তিনি। আর্সেনালের বিরুদ্ধেও কুম্ভ হয়ে দাঁড়ান।

আর্টেটার টিম দ্বিতীয়ার্ধেও ঝাঁজালো আক্রমণ ধরে রাখে। কিন্তু লুইস-কেলির হ্যান্ডবলের সৌজন্যে সেকেন্ড হাফে পেনাল্টি পায় পিএসজি। যদিও স্পট কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন ভিটিনহা। দুর্বল শট। বিচক্ষণতা দেখিয়ে বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে সেভ করেন আর্সেনাল কিপার রায়া৷

সেই ক্ষতে প্রলেপ দিয়ে ৭২ মিনিটের মাথায় ম্যাচের দ্বিতীয় গোল করে দুই টাই মিলিয়ে পিএসজিকে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন তুরস্কের উইঙ্গার হাকিমি। এই একটি গোলেই আর্সেনালের যাবতীয় আশা মুছে যায়। বুকায়ো সাকা বল জালে জড়িয়ে ব্যবধান কমালেও লাভের লাভ হয়নি। শেষমেশ হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় গানার্সরা। ফাইনালে ওঠে পিএসজি। অন্তিম লড়াই হতে চলেছে মিউনিখের ময়দানে। প্রতিপক্ষ ইন্টার মিলান।