শেষ আপডেট: 23rd July 2024 13:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আনোয়ার আলি কোথায় খেলবেন, সেটি এখনও বিশ বাঁও জলে। কারণ আনোয়ারকে কখনই রিলিজ অর্ডার দেবে না মোহনবাগান। তারা বিষয়টিতে একরোখা মনোভাব নিয়েছে। বরং পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে ইস্টবেঙ্গল।
আনোয়ার ইতিমধ্যেই ফেডারেশনের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির কাছে অন্য ক্লাবে খেলার বিষয়ে আবেদন জানিয়েছে। তিনি বলেছেন, মোহনবাগানের সঙ্গে তাঁর লোন চুক্তি বাতিল হয়ে গিয়েছে। কারণ ফিফা জানিয়ে দিয়েছে, একবছরের বেশি লোন চুক্তি বৈধ নয়।
মোহনবাগান অবশ্য নিজেদের যুক্তিতে অনড়। তারা পুরনো নিয়মকে সামনে রেখে জানিয়ে দিয়েছে, আনোয়ারকে খেলতে হলে সবুজ মেরুন জার্সি পরেই খেলতে হবে। এই নামী সেন্টার ব্যাককে মোহনবাগান ১৯ জুলাই অনুশীলনে যোগ দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি যোগ দেননি। এই নিয়ে সবুজ মেরুন কর্তৃপক্ষ তাঁকে জরিমানা করতে পারে। প্রতিদিনের হিসেব ধরলে এক লক্ষ টাকা করে জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। তিনি যত দেরি করবেন, ততই জরিমানার পরিমাণ বাড়বে।
এদিকে, মোহনবাগানকে চিঠি দিয়েছে ফেডারেশনও। তারা চায় মোহনবাগানের কোনও আধিকারিক প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির বৈঠকে যোগ দিন। সেদিন আনোয়ারকেও ডাকা হতে পারে। দু’পক্ষের উপস্থিতিতে ফেডারেশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। কোনও একটা পক্ষের কথার ভিত্তিতে রায় দেওয়া হবে না।
লাল হলুদ ক্লাব এখনও বলে চলেছে, আনোয়ারকে তারা প্রাথমিক চুক্তিপত্রে সই করিয়েছে। আনোয়ার অবশ্য মানতে চাইছেন না তিনি কোনও সই করেছেন বলে! তিনি নিজেকে ফ্রি ফুটবলার হিসেবে মনে করছেন। কিন্তু পরিস্থিতি যা তাতে প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির রায়ের ওপরই আনোয়ারের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হবে।
আনোয়ার আবার অভিযোগ জানিয়েছেন, তিনি মোহনবাগানের থেকে বকেয়া বেতন পাননি। তিনি সেই নিয়ে ফিফায় যেতে পারেন। তার আগে তিনি আলোচনা করতে চান ফেডারেশনের সঙ্গে। পাশাপাশি আবার শোনা গিয়েছে, আনোয়ার কলকাতা নন, তিনি দিল্লি এফসি-তে যোগ দিতে পারেন। তিনি এর আগে দিল্লি থেকে লোনে এসেছিলেন মোহনবাগানে। মাঝে একটা বছর খেলেছিলেন এফসি গোয়াতেও।