শেষ আপডেট: 10th September 2024 11:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আনোয়ার আলি নিয়ে যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটল। চার মাস নির্বাসিত হয়ে গেলেন ফুটবলার। সঙ্গে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে তাঁকে। পাশাপাশি বড় শাস্তি পেল ইস্টবেঙ্গলও। এক্ষেত্রে বলা যায়, পিএসসি থেকে বড় জয় পেল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। তাঁরা আনোয়ার, দিল্লি এফসি এবং ইস্টবেঙ্গল থেকে ক্ষতিপূরণের টাকা পাবে।
আইএসএল শুরু হতে এখনও কদিন বাকি। তার আগে পর্যন্ত আনোয়ার ইস্যু নিয়ে তোলপাড় হয়েছে ফুটবল ময়দান। সামার ট্রান্সফার উইন্ডো শুধু আনোয়ারময় ছিল বলা যায়। দিল্লি এফসি থেকে ৪ বছরের লোনে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের হয়ে খেলতে গিয়েছিলেন আনোয়ার। কিন্তু এক বছর খেলার পরই সবুজ-মেরুন ছেড়ে লাল-হলুদে পাঁচ বছরের জন্য সই করেন তিনি। এরপরই বাঁধে বিতর্ক। মোহনবাগানের অভিযোগ ছিল, কোনও কারণ ছাড়াই আনোয়ার দল ছেড়ে অন্য দলে সই করেছেন। সেটা অবৈধ। তারপর সব পক্ষই গেছিল এআইএফএফ-এর প্লেয়ারস স্ট্যাটাস কমিটিতে। দীর্ঘ সময় পর একাধিক শুনানি শেষে মঙ্গলবার রায় দিয়েছে পিএসসি।
আনোয়ার তো চার মাস ব্যান হলেন, আগামী দু’টি ট্রান্সফার উইন্ডোয় কোনও ফুটবলার সই করাতে পারবে না ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসি। একই সঙ্গে, ইস্টবেঙ্গল এবং আনোয়ারকে মিলিত ভাবে ১২ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এই চুক্তির মধ্যস্থতাকারী ছিলেন দিল্লি এফসি-র মালিক রঞ্জিত বাজাজ। ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে আনোয়ারের চুক্তি এমনভাবেই হয়েছে যে, কোনও ক্ষতিপূরণ হলে দিল্লি এফসি কোনও টাকা দেবে না। তা প্লেয়ার এবং নতুন ক্লাবকেই দিতে হবে। সেক্ষেত্রে বলাই যায়, আনোয়ারের থেকেও বড় সমস্যায় পড়ল লাল-হলুদ ব্রিগেড।
ফিফার নিয়মে রয়েছে, এক বছরের বেশি লোন বৈধ নয়। অন্য ক্লাব কোনও ফুটবলারকে নিতে চাইলে এক বছর পর চুক্তি করে নিতে পারে। কিন্তু ভারতীয় ফুটবলে এটি এখনও প্রযোজ্য নয়। সেই কারণে মোহনবাগান দাবি করেছিল আনোয়ারের লোন চুক্তি ২০২৫ সাল পর্যন্ত বৈধ। কিন্তু পিএসসি এর আগের শুনানিতে জানিয়েছিল, বৈধ নিয়ম আনোয়ার চুক্তি ভঙ্গ করলেও তিনি নিজের পছন্দের ক্লাবে সই করতে পারেন। কারণ তাঁরা জীবিকা ফুটবলের ওপরই নির্ভর করছে। তবে তাঁকে যে শাস্তি পেতে হবে এটাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। সেই শাস্তি কী, সেটাই জানিয়ে দিল পিএসসি।