শেষ আপডেট: 27th January 2025 15:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো : আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ২০২৫ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এই বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর পাকিস্তানে বসতে চলেছে। যদিও এই টুর্নামেন্টে ভারতীয় ক্রিকেট দল তাদের প্রত্যেকটা ম্যাচই দুবাইয়ে খেলবে। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারত এবং পাকিস্তানের লড়াই দেখতে পাওয়া যাবে।
যদি ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে ক্রিকেট দ্বৈরথ নিয়ে আলোচনা করতে হয়, তাহলে বলতে হবে যে ১৯৫২ সাল থেকে এই লড়াইয়ের সূত্রপাত। এরপর থেকে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব একাধিক হাইভোল্টেজ ম্যাচের সাক্ষী থেকেছে। পাকিস্তান যখন ভারতীয় ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে প্রথমবার খেলতে নেমেছিল, সেইসময় পাক ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন আব্দুল হাফিজ করদার।
তবে সবথেকে মজার ব্যাপার হল, এই করদার সাহেব পাকিস্তানের পাশাপাশি ভারতের হয়েও খেলেছেন। কবে? ১৯৪৭ সালে দুটো দেশ ভাগ হওয়ার আগে আব্দুল হাফিজ করদার ভারতের হয়েই খেলতেন। তবে ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর তিনি পাকিস্তানে বসবাস করতে শুরু করেন।
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, ১৯২৫ সালের ১৭ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেছিলেন হাফিজ। দেশভাগের আগে তিনি ভারতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে তিনটে টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন। ইংল্যান্ড সফরে এই তিনটে টেস্ট ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর হাফিজকেই পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসেবে নির্বাচন করা হয়। পাকিস্তানের হয়ে হাফিজ মোট ২৩ টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন। ১৯৫৮ সালে তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন।
আব্দুল হাফিজ করদার ২৬ টেস্ট ম্যাচে ২৩.৭৫ ব্যাটিং গড়ে মোট ৯২৭ রান করেছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি ২১ উইকেটও শিকার করেন। ভারতের হয়ে তিনি মাত্র ৮০ রান করেন। আর পাকিস্তানের হয়ে ২৪.৯১ ব্যাটিং গড়ে মোট ৮৪৭ রান করেছিলেন। এরমধ্যে পাঁচটি হাফসেঞ্চুরি ছিল। পাশাপাশি পাকিস্তানের হয়েই তিনি ২১ উইকেট শিকার করেন।
অবসর গ্রহণের পর আব্দুল হাফিজ করদার পাকিস্তান ক্রিকেট দলের মুখ্য নির্বাচকের পদ গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৭২-৭৭ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এখানেই শেষ নয়। ক্রিকেটের পাশাপাশি রাজনীতির ময়দানেও তিনি পা রেখেছিলেন। ১৯৭০ সালে পাকিস্তান পিপলস পার্টির টিকিটে পঞ্জাবের প্রান্তিক বিধানসভা থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।