শেষ আপডেট: 7th March 2025 18:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ক্রিকেটের প্রায় সমস্ত শৃঙ্গই তিনি জিতে ফেলেছেন। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিশ্বকাপ। সবকিছুই তাঁর দখলে। বাকি শুধুমাত্র আইপিএল জয়। তাহলেই বিরাট কোহলির কেরিয়ার পাকাপাকিভাবে ‘শ্রেষ্ঠত্ব’ আর্জন করবে। এমনটাই দাবি করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটার এভি ডিভিলিয়ার্স।
২০০৮ সাল থেকে শুরু হয় আইপিএল। সেখানে ১৪০ ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বিরাট। এই মরশুমে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নেন। মোট ম্যাচ খেলেছেন ২৫২টি। রানসংখ্যান ৮ হাজারের উপর। হাফ সেঞ্চুরি ৫৫টি, সেঞ্চুরি ৮টি। গড় ৩৮.৬৭। বছর ছত্রিশের তারকা ব্যাটসম্যান আইপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
ব্যক্তিগতভাবে রেকর্ড জমকালো। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেরিয়ারে একবারও আইপিএলের ট্রফি খেতাব হাতে তোলেননি বিরাট। ২০০৯, ২০১১ এবং ২০১৬—তিন বছর তীরে এসেও তরী ডোবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। রানার্স হয় তারা। ট্রফি অধরাই থাকে কোহলির।
যদিও এরই মধ্যে আশার আলো দেখছেন ডিভিলিয়ার্স। সময়ের সঙ্গে যেভাবে খেলা বদলে ফেলেছেন ভারতের তারকা ক্রিকেটার, তাতে তাঁর আশা, এবার ভাল কিছুর আশা অন্তত করাই যায়। ডিভিলিয়ার্স বলেন, ‘বিরাট যেভাবে কমফোর্ট জোনের বাইরে এসে নতুন শট আয়ত্ত করতে চাইছে, খেলার নয়া কৌশল আবিষ্কার করে চলেছে, এটা দেখে ভাল লাগছে। এই ক্ষমতা ওর মধ্যে বরাবরই ছিল। বিরাটের কেরিয়ার চমৎকার। কিন্তু আইপিএল ট্রফি জয় তাতে ফিনিশিং টাচ দেবে।‘
ক্রিকেটার হিসেবে বিরাট অনুরাগীদের হতাশ করেননি। কেউ কেউ তাঁর স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে তাকে সেভাবে আমল দিতে নারাজ ডিভিলিয়ার্স। তাঁর ব্যাখ্যা: পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিংয়ের ধরন বদলেছেন বিরাট। ক্রিজের উল্টোদিকে দাঁড়ানো খেলোয়াড় ছন্দে থাকলে চালিয়ে খেলেন। কিন্তু সেটা না হলে বিরাট স্বাভাবিক খেলা অর্থাৎ, ধরে খেলায় ফিরে যান।