
হাবাস ও দিয়াজ, দুই স্প্যানিশ কোচের মগজাস্ত্রেরও লড়াই বড় ম্যাচে
তিনি আইএসএলে দলের দায়িত্ব পাওয়ার পরে কলকাতাতেও আসেননি। গতবার রবি ফাউলারের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। দিয়াজ রিয়াল মাদ্রিদ যুব দলের কোচ ছিলেন, তিনি রিয়াল ঘরানার কোচ।
এটিকে মোহনবাগানের খেলার ফুটেজ দেখে রণকৌশল সাজাচ্ছেন রিয়াল মাদ্রিদের ‘বি’ টিমের প্রাক্তন হেডস্যার। লিস্টন কোলাসো, হুগো বোমাস যোগ দেওয়ায় এবারের সবুজ-মেরুন অনেকটা ভয়ানক হয়ে উঠেছে। বাগানের আক্রমণ আটকাতে রক্ষণের চেয়েও ব্লকারে অভিজ্ঞ কাউকে খেলানোর কথা ভাবছেন দিয়াজ। বড় ম্যাচের আগে হাতের সমস্ত তাস বার করেননি লাল-হলুদ কোচ।
জামশেদপুরের বিরুদ্ধে মাঝমাঠ ব্যর্থ হলেও, বড় ম্যাচে দলে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনার ভাবনা এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচের। তিনি তাল ঠুকছেন এটিকে-মোহনবাগান রক্ষণে চাপ বাড়াতে আক্রমণে কাকে রাখবেন।
অ্যান্টোনিও পেরোসেভিচ এই দলের প্রধান হাতিয়ার। তাঁকে ব্যবহার করেই বড় ম্যাচ জেতার অঙ্ক কষছে লাল-হলুদ। ড্যানিয়েল চিমা প্রথম ম্যাচে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। বড় ম্যাচে জ্বলে উঠতে মরিয়া নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার। বিদেশিদের ডার্বির গুরুত্ব বোঝাচ্ছেন অরিন্দম-রফিকরা।
হাবাসের সফলতার রসায়ন, তিনি চান দলের জয়, ভাল খেলার থেকে তাঁর কাছে তিন পয়েন্ট সবসময় অগ্রাধিকার পেয়েছে। যে কারণে তিনি এত সফল কোচ। পেরোসেভিচের খেলা আটকাতে তিনি দলে একজন স্ন্যাচার রাখতে চান, যিনি বল কেড়ে নিয়ে আক্রমণে যাবেন। সবুজ মেরুনের রক্ষণই চিন্তার, তারা গোল করেও গোল হজমও করছে, এটাই চিন্তার কোচের কাছে।
শনিবার যে দলই জিতুক না কেন, সেই দলের কোচের কৌশলই যে ম্যাচের ছবি বদলে দেবে, সে না বললেও চলে।