সামার ম্যাকিনটোশ
শেষ আপডেট: 5 August 2024 03:00
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মেয়েদের ৪০০ মিটার মেডলি (চার রকম স্টাইলে সাঁতারের সমাহার) সাঁতারে সোনা জিতে প্যারিস অলিম্পিক্স শুরু করেছিলেন কানাডার সামার ম্যাকিনটোশ। ১৭ বছরের কিশোরী মেয়ের সেই শুরু যে হ্যাটট্রিকে গিয়ে থামবে, তা বোধহয় কেউ ভাবেননি। প্রথম সোনার পরেই দ্বিতীয় ইভেন্ট, ২০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে সোনা জিতে নেন তিনি। তার পরে মেয়েদের ২০০ মিটার মেডলিতেও ফের সোনা জিতেছেন সামার। গড়েছেন রেকর্ডও।
জানা গেছে, মেয়েদের ২০০ মিটার ব্যক্তিগত মেডলিতে সামারের টাইমিং দাঁড়ায়, ২ মিনিট ৬.৫৬ সেকেন্ড। এটাই তাঁর গড়া নতুন রেকর্ড। তার পরেই ২ মিনিট ৬.৯২ সেকেন্ড সময় নিয়ে রুপো জিতেছেন আমেরিকার কেট ডগলাস। ব্রোঞ্জ জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ার কাইল ম্যাকিওন। ৪০০ মিটার ব্যক্তিগত মেডলিতে ম্যাকিনটোশ সময় নিয়েছেন ৪ মিনিট ২৭.৭১ সেকেন্ড। এই ইভেন্টে এটি চতুর্থ দ্রুততম টাইমিং।
এর বাইরেও মেয়েদের ৪০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে ৩ মিনিট ৫৮.৩৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে রুপো জেতেন ম্যাকিনটোশ। ফলে প্যারিস অলিম্পিকে তিনটি সোনা-সহ সব মিলিয়ে চারটি পদক ভরেছেন তিনি ঝুলিতে।
এই জয়যাত্রার শুরু অবশ্য সেই ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিক্স থেকেই। তখন ১৪ বছর বয়স ছিল সামারের। একটুর জন্য পদক ফস্কেছিল ২০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে। চতুর্থ হয়েছিলেন তিনি।
তার পরে লাগাতার অনুশীলন। চার বছরের ব্যবধানে সেদিনের সেই সদ্যকিশোরী এখন রীতিমতো অভিজ্ঞ সাঁতারু। দাপটের সঙ্গে ছিনিয়ে নিলেন একের পর এক সোনার পদক।
অলিম্পিয়ান বাবা-মার সন্তান সামার ম্যাকিনটোশ। তাই হয়তো এমন অনায়াসে সোনা-রুপো জয়ের পরে তাঁর মন্তব্য, ‘শুধু প্রতিযোগিতা নয়, আমি যতটা পারি উপভোগও করতে চাই অলিম্পিক্সের পুলে সাঁতার কাটা। কারণ, এই মুহূর্তগুলো প্রতি চার বছরে একবারই আসে। আমি কানাডাকে গর্বিত করার চেষ্টা করছি।’
সামার ম্যাকিনটোশের বয়স মাত্র ১৭ হলেও, তাঁর কথাবার্তা রীতিমতো অভিজ্ঞ সাঁতারুদের মতোই। সেই স্বরেই তিনি বলেন, 'আমি যতবারই বিশ্বমঞ্চে খেলি, কীভাবে পরিস্থিতি সামলাতে হবে, সেটা সম্পর্কে আরও বেশি করে শিখি। সেটা মানসিকভাবে হোক বা শারীরিকভাবে, অথবা ইমোশনাল জায়গা থেকে। তাই আমি কখনওই খুব বেশি উত্তেজিত হই না, ভেঙেও পড়ি না। নিজের সেরাটা দিই খেলার সময়ে এবং তার ভিত্তিতে যা ফল হয়, সেটাই স্বীকার করে নিই।’
এখানেই শেষ নয়, মাত্র ১৭ বছর বয়সের ম্যাকিনটোশ পরবর্তী প্রজন্মকে নিয়েও সচেতন। কেবলই পদক জয়ের জন্য তাঁর এই লড়াই নয় বলেই জানালেন। বললেন, সাঁতার দিয়ে তিনি অনুপ্রাণিত করতে চান ছোটদেরও।
তাঁর কথায়, 'আমি কেবল নিজের জন্য ভাল খেলি না। ভাল খেলে যতটা সম্ভব প্রভাবিত করার চেষ্টা করি ছোটদেরও। আশা করি, ছোটরাও সেটা জানে। তাই তারাও বিশ্বাস করে, যে আমি যা করতে পারি, সেটা তারাও পারবে। আমিও তো ছোট ছিলাম, রিও অলিম্পিক্স দেখতাম টিভিতে। তার আট বছর পর আমি আজ এখানে, সোনার মেডেল নিয়ে দাঁড়িয়ে। তাই ছোটদের যতটা সম্ভব অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি আমি।’