রিকি পন্টিং
শেষ আপডেট: 16th April 2025 12:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ম্যাচ উত্তেজক করতে চাইলে ভূরি ভূরি রান আর বাইশ গজকে ব্যাটসম্যানদের নন্দনকানন বানানোটাই একমাত্র বিকল্প নয়। ঘূর্ণি পিচে স্পিনাররা অবধ্য হয়ে উঠলে প্রতিযোগিতা একই রকম উত্তেজক হয়ে উঠতে পারে। গতকাল যার নমুনা ফুটে উঠল মুল্লানপুরে, পাঞ্জাব বনাম কলকাতা ম্যাচে। প্রথমার্ধের নায়ক যদি হয় সুনীল নারিন-বরুণ চক্রবর্তী জুটি, তাহলে দ্বিতীয়ার্ধে একা হাতে লড়াইয়ের রং বদলে দিলেন যুজবেন্দ্র চাহাল। মাঠের বাইরের বিতর্ক, ব্যক্তিগত ওঠানামা, সম্পর্কের চড়াই-উতরাই ডিঙিয়ে ম্যাচের নায়ক পাঞ্জাবের লেগ স্পিনার।
স্কোরবোর্ডে টিমটিম করে জ্বলছে ১১১ রানের টার্গেট। সেটা তুলতেই হিমশিম খেল নাইট রাইডার্স। ৭ রানে ২ উইকেট খোয়ানোর পর অঙ্গকৃশ-রাহানে জুটি ৬০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে যখন জয়ের রাস্তায় ফিরে আনছিল কলকাতাকে, তখনই আঘাত হানেন চাহাল। ২৮ রানে তুলে নেন ৪ উইকেট। যার জেরে ১৫.১ ওভারে মাত্র ৯৫ রানে গুটিয়ে যায় কলকাতা।
এই নিয়ে বলতে গিয়ে রসিকতার মেজাজে ধরা দিলেন রিকি পন্টিং। টানটান থ্রিলার নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার বুক এখনও ধুকপুক করছে। এখন পঞ্চাশের চৌকাঠে রয়েছি। আর এমন খেলা দেখতে চাই না।‘ পরে যোগ করেন, ‘বিরতির সময় আমরা খেলোয়াড়দের বলেছিলাম, ক্রিকেটে ছোট টার্গেট কখনও কখনও কঠিনতম হয়ে ওঠে। উইকেট সহজ ছিল না। সেটাও ম্যাচে বড় ভূমিকা নিয়েছে।‘
এরপরই নায়ক চাহালের প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘গত ম্যাচে কাঁধে চোট পেয়েছিল। আজ খেলার আগে ফিটনেস টেস্ট করা হয়। তারপর ওয়ার্ম আপের সময় আমি চাহালকে ধরে চোখে চোখ রেখে জিজ্ঞেস করি, ‘তুমি ঠিক আছ তো?’ জবাবে ও জানায়, ‘কোচ, আমি ১০০ সুস্থ। আমায় দয়া করে মাঠে নামতে দাও।‘
পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে দলের বোলারদের প্রশংসা করেছেন পন্টিং। বলেছেন, ‘আজ যদি আমরা ম্যাচটা হেরেও যেতাম, তবু সেকেন্ড হাফ যেভাবে খেলেছি তার জন্য আমার গর্ব হত। ব্যাটিং বাজে হয়েছে, শট নির্বাচন ঠিকঠাক হয়নি। তারপর মাঠে নামার পর যেভাবে বল করেছি, ফিল্ডিংয়ে নিজেদের উজাড় করে দিয়েছি, আগেই উইকেট তুলে নিয়েছি, তাতে সবাই বুঝে যায় আমরা লড়াই জিততেই মাঠে নেমেছি।‘
রিকি পন্টিংয়ের বিশ্বাস, এই ম্যাচই হতে চলেছে পাঞ্জাবের টার্নিং পয়েন্ট। তাঁর কথায়, ‘খুব হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ জেতার পর আমি খেলোয়াড়দের বলে থাকি এই ম্যাচ সিজন বদলে দিতে পারে। আজকের লড়াইও আমার মতে এতটাই গুরুত্বপূর্ণ জয়। সব কৃতিত্ব খেলোয়াড়দের। আজ ওরা অপ্রতিরোধ্য ছিল।‘