উইকেট আগে পড়লে কী হত, তা পার্টানারশিপ ভাঙার পর বোঝা যায়। ধপাধপ ধস নামে। শেষের ৫ উইকেট আসে মাত্র ২০ রানে।
শুভমান গিল
শেষ আপডেট: 5 July 2025 09:44
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রতিপক্ষ যখন পাঁচ উইকেট খুইয়ে ধুঁকছে, তখন মাত্র দুটো স্লিপ রাখার মানে কী? প্রশ্ন ছুড়লেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার ডেভিড লয়েড। সওয়াল তুললেন অধিনায়ক শুভমান গিলের রক্ষণাত্মক স্ট্র্যাটেজি নিয়ে।
গতকাল বল হাতে ইংরেজদের চেপে ধরেছিলেন আকাশ দীপ ও মহম্মদ সিরাজ। প্রথম ইনিংসে ৫৭৮ রানের পাহাড়ের সামনে দাঁড়িয়ে রীতিমতো ত্রাহি ত্রাহি রব ওঠে ইংল্যান্ড ক্যাম্পে। যখন মনে হচ্ছে ফলো অন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা, ৮৪ রানে দলের অর্ধেক ক্রিকেটার সাজঘরে ফিরে যাওয়ার পর কামব্যাক করা অসম্ভব, ঠিক তখনই পালটা মার শুরু করেন জেম স্মিথ ও হ্যারি ব্রুক। ৩০৩ রানের পার্টনারশিপে লড়াইয়ের ময়দানে ফিরে আনেন দলকে।
ব্রুক শেষ পর্যন্ত আউট হন ১৫৮ রানে, স্মিথ করেন ১৮৪। ষষ্ঠ উইকেটে এটা ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ। যা স্টোকসদের ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখাচ্ছে। আর এখানেই ভারতীয় অধিনায়কের রণকৌশল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ডেভিড লয়েড।
তিনি বলেন, ‘খেলাটা দুম করে শুভমান গিলের হাত থেকে ঘুরে গেল। পকেটে ৫৮৭ রান নিয়ে দুটো স্লিপ দিয়ে ফিল্ডিংকে রক্ষণাত্মক রাখার কোনও মানে হয় না। ব্রুক আর স্মিথ আক্রমণ করছিল ঠিকই। কিন্তু তা সত্ত্বেও চাপ বজায় রাখার সুযোগ ছিল। তিনটে স্লিপ রাখলে ওরা হয়তো বারদুয়েক ভাবত। তার কারণ, আউটের সুযোগ তৈরি হচ্ছিল।’
উইকেট আগে পড়লে কী হত, তা পার্টানারশিপ ভাঙার পর বোঝা যায়। ধপাধপ ধস নামে। শেষের ৫ উইকেট আসে মাত্র ২০ রানে। শেষমেশ ১৮০ রানের লিড নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় ভারতকে। যা আরও অনেকটা বাড়তে পারত।
এই নাটকীয় ও ঘটনাবহুল দিন নিয়ে বলতে গিয়ে লয়েডের বক্তব্য, ‘স্কোরকার্ড সত্যি অবিশ্বাস্য! ছ’জন ইংরেজ ব্যাটার খাতা না খুলে শূন্য রানে ফিরেছেন। প্রথমে হতচেষ্ট হয়ে পড়েছিল, তারপর পালটা আক্রমণ করে। টেলএন্ডারদের নিশ্চিহ্ন করে সিরাজ। স্মিথ ১৮৪ রানে অপরাজিত থেকে যায়। সত্যি বলতে, কারও না কারও ওর সঙ্গে ক্রিজে থাকা উচিত ছিল!’