সুনীল গাভাসকর, শচীন তেন্ডুলকর এবং বিরাট কোহলি তিন প্রজন্মের তিন সেরা ব্যাটারের সর্বোচ্চ টেস্ট স্কোরকে টপকে গেলেন শুভমন।
ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 3 July 2025 17:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মনে হচ্ছিল ক্যারিয়ারের প্রথম ত্রিশতকটা এদিন পেয়ে যাবেন ভারত অধিনায়ক শুভমান গিল। কিন্তু সেটা হয়নি। তবে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে রানের পাহাড় গড়েছে টিম ইন্ডিয়া। এরপর ইংল্যান্ডের ইনিংস ভাঙ্গার কাজ শুরু করলেন বঙ্গ পেশার আকাশ দীপ। পরপর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে আকাশ প্রমাণ করে দিলেন তাঁকে প্রথম টেস্টে না খেলানোটা চরম ভুল হয়েছিল।
ইংল্যান্ডের ক্রিকেট প্রেমীদের হৃদয় জিতে নিলেন ভারত অধিনায়ক শুভমন গিল। দ্বিতীয় টেস্টে দ্বিশতরান করলেন। এটাই তাঁর টেস্টে প্রথম দ্বিশতরান। কেবল দু’শোতে আটকে রাখা যায়নি ভারত অধিনায়ককে। দ্বিতীয় সেশনেই আড়াইশো রানও পূর্ণ করেন তিনি। সেই সঙ্গে একঝাঁক কিংবদন্তির নজির ভেঙে দিলেন ভারতের নতুন অধিনায়ক।
সুনীল গাভাসকর, শচীন তেন্ডুলকর এবং বিরাট কোহলি তিন প্রজন্মের তিন সেরা ব্যাটারের সর্বোচ্চ টেস্ট স্কোরকে টপকে গেলেন শুভমন। টেস্টে এই তিন কিংবদন্তির সর্বোচ্চ স্কোর ছিল যথাক্রমে ২৩৬, ২৪৮ এবং ২৫৪। কিন্তু জীবনের সপ্তম সেঞ্চুরিতেই তিনজনকে টপকে গেলেন গিল। শেষ পর্যন্ত ৩৮৭ বলে ২৬৯ রানে আউট হন তিনি।
ইংল্যান্ডে কোনও ভারত অধিনায়ক হিসাবেও এটা বড় স্কোর গিলের। প্রথম ইনিংসে ৫৮৭ রান তুলেছে টিম ইন্ডিয়া। জাদেজা হতভাগ্য। ৮৯ রানে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। তার আগে অবশ্য অধিনায়ক গিলের সঙ্গে ২০৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। লাঞ্চের পর ইংল্যান্ডের বোলারদের রীতিমতো শাসন করে ডাবল সেঞ্চুরি সেরে ফেলেন গিল।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ভেঙেছেন কোহলির রেকর্ড। এই এজবাস্টনেই ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৪৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন কোহলি। এদিন কোহলির সেই বিরাট রেকর্ডকে টপকে যান গিল। দেড়শোর পরে অনায়াস ভঙ্গিতে ডাবল সেঞ্চুরিও পূর্ণ করেন তিনি। ইংল্যান্ডে আগের ছয় ইনিংসে গিলের গড় ছিল মাত্র ১৪.৬৬। কিন্তু দুটো টেস্টে দুর্দান্ত ছন্দে থেকে গিল বুঝিয়ে দিচ্ছেন তিনি স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন। তাঁর ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও।
ইংল্যান্ড ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায়। বাংলার পেসার আকাশ দীপ পরপর দুই বলে দুই উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন। তৃতীয় ওভারে দুই উইকেট খুইয়ে ইংল্যান্ড যখন ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছিল, তখন আবার মহম্মদ সিরাজ বাধা হয়ে দাঁড়ান। অপর ওপেনার ক্রলিকে ফেরান তিনি। মাত্র ২৫ রানে তিন উইকেট খুইয়ে বসে ইংরেজ বাহিনী।
এরপর জো রুট ও হ্যারি ব্রুক ম্যাচের হাল ধরেন। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের ৩ উইকেটে ৭৭ রানে শেষ হয় দ্বিতীয় দিনের খেলা। ম্যাচের যা পরিস্থিতি তাতে বলাই যায়, অ্যাডভান্টেজ টিম ইন্ডিয়া।