শেষ আপডেট: 11th January 2025 17:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পুরীর রথযাত্রা ও জগন্নাথ মন্দিরের মধ্যে রয়েছে বহু রহস্য। এমনও একটি বিশ্বাস রয়েছে যে, পুরীর জগন্নাথ রথের দড়ি টানলে ১০০টি যজ্ঞের সমান পুণ্য অর্জিত হয়। এছাড়া, পুরীর জগন্নাথ মন্দির সম্পর্কে একাধিক অদ্ভুত কাহিনী প্রচলিত রয়েছে, যার কোনও সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না।
বিশেষ করে, এটি বিশ্বাস করা হয় যে, বিয়ের পর যদি দম্পতিরা মন্দিরে গিয়ে জগন্নাথের দর্শন করেন, তাহলে তাঁদের বৈবাহিক জীবন সুখী ও শান্তিপূর্ণ হয়। কিন্তু, অবিবাহিত যুগলদের জন্য পুরী যাত্রা হতে পারে বিপরীত। এমনকি, একাধিক কারণে মন্দিরে তাদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়।
এর কারণ কী?
শ্রীকৃষ্ণের পাশে সবসময় শ্রীরাধা থাকেন, কিন্তু পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে শ্রীকৃষ্ণ থাকেন তাঁর দাদা বলভদ্র এবং বোন সুভদ্রার সঙ্গে, তবে শ্রীরাধা নেই। রথযাত্রার সময়ও এই দৃশ্য দেখা যায়, যা অবিবাহিত যুগলের জন্য বিশেষ নির্দেশনা দেয়। শাস্ত্র মতে, শ্রীরাধা একবার পুরী গিয়ে শ্রীকৃষ্ণের জগন্নাথ রূপ দেখার ইচ্ছা পোষণ করেন। তিনি মন্দিরে প্রবেশের চেষ্টা করলেও পুরোহিত তাঁকে বাধা দেন, কারণ তিনি শ্রীকৃষ্ণের বিবাহিত স্ত্রী নন। এই ঘটনায় রেগে গিয়ে রাধারানি অভিশাপ দেন যে, এখন থেকে কোনও অবিবাহিত যুগল মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন না এবং তাঁদের প্রেম নষ্ট হয়ে যাবে।
তবে, মন্দির কর্তৃপক্ষ জানায় যে, অবিবাহিত যুগলরা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন, তবে একমাত্র শর্ত হল তারা হিন্দু হতে হবে। অন্য ধর্মাবলম্বীরা মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি পাবেন না। এছাড়া, সাম্প্রতিক সময়ে মন্দিরে পোশাকবিধি চালু করা হয়েছে, অর্থাৎ ছেঁড়া জিন্স, হাতাকাটা জামা বা হাফ প্যান্ট পরে মন্দিরে ঢোকা যাবে না।
বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই সংক্রান্ত কোনও মতামত দ্য ওয়ালের নয়। দ্য ওয়াল জ্যোতিষ বা শাস্ত্র সম্পর্কিত কোনও সম্পাদকীয় / সম্পাদক-নিয়ন্ত্রিত তথ্য, পরামর্শ প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে সঠিক সিদ্ধান্ত নিন। নিজের মতামতকে গুরুত্ব দিন।