শেষ আপডেট: 2nd November 2024 20:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাত পোহালেই ভাইফোঁটা। ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় বোনের প্রার্থনাই ভাইফোঁটা। ভাই-বোনের সম্পর্কের সব থেকে বিশেষ দিন এটি। কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে দেশজুড়ে পালিত হয় ভাইফোঁটা। এই দিন ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় তাঁকে ফোঁটা দিয়ে থাকে বোনেরা। স্থানভেদে নাম আলাদা। এই দিন সকাল থেকে উপবাস করে ভাইদের ফোঁটা দেন বোনেরা। এই দিনের পিছনে পৌরাণিক কাহিনি প্রায় অনেকেরই জানা।
পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, এই তিথিতেই মৃত্যুর দেবতা যম বোন যমুনার বাড়িতে যান। সেখানে তাঁর আতিথেয়তা গ্রহণ করেন। সেই অনুসারে শুরু ভাইফোঁটা। এছাড়াও আরও একটি কাহিনী। মনে করা হয়, নরকাসুরের বধের পর ভগবান কৃষ্ণ বোন সুভদ্রার কাছে যান। তিনি ভাইয়ের কপালে তিলক লাগিয়েছিলেন। তখন থেকেই শুরু হয় ভাইফোঁটা।
এদিন কিছু বিশেষ নিয়ম পালন করতে হয়। ফলে ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় যাতে অজান্তেও কোনো ভুল না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। দেখে নেওয়া যাক সেইসব নিয়ম।
ভাইফোঁটার দিন ভাই ও বোন দু'জনেরই কালো পোশাক এড়িয়ে যাওয়া উচিত। কালো রংটি অশুভ বার্তা বহন করে। ভাইফোঁটা দিন সকালে স্নান করে পরিষ্কার পোশাক পরা উচিত।
তিলক দেওয়ার সময় অবশ্যই রুপো, সুপারি, চাল এগুলো থালায় রাখা আবশ্যিক। দিনের শেষে সেই জিনিসগুলো অভাবী কোনও ব্যক্তিকে দান করা যেতে পারে। এছাড়াও নারকেল, চিনি, কালো ছোলা, শস্য ইত্যাদি ভাইকে দিতে হবে। যমরাজের নামে প্রদীপ জালানো উচিত। তাতে ভাইয়ের জীবনে ও পরিবারে সুখ আসবে বলে মনে করা হয়।
ভাইফোঁটা দিন উপবাস করে ফোঁটা দেওয়া উচিত ভাইকে। এতে ভাইয়ের মঙ্গল হবে। ফোঁটা দেওয়ার সময় খেয়াল রাখা প্রয়োজন ভাইয়ের মুখ যেন উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিকে এবং বোনের মুখ উত্তর-পূর্ব বা পূর্ব দিকে যেন থাকে। ওই দিকনির্দেশ মেনে চললে দু'জনের জীবনে সুখ নেমে আসেবে। তাছাড়া ভাইফোঁটার দিন ভাইয়ের পছন্দের রান্না করে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে তবে সেই পদে যেন মাংস না থাকে।