শেষ আপডেট: 9th November 2024 19:42
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সামনে পরীক্ষা, কিন্তু তা সত্ত্বেও পড়তে বসছে না বাড়ির সন্তান? জোর করে পড়াতে বসালেও কিছুতেই মন টিকছে না তার। এদিকে পরীক্ষার রেজাল্ট তো ভাল করতেই হবে। এই নিয়ে চিন্তায় থাকেন বহু মা-বাবাই। তবে এর জন্য মানা যেতে পারে বাস্তুশাস্ত্র। হিন্দু ধর্মে বাস্তুশাস্ত্রের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বাস্তু মেনে চললে জীবনে ইতিবাচক প্রভাব এবং উন্নতি মেলে।
শিশুদের পড়াশোনায় মনোযোগ এবং মানসিক প্রশান্তির জন্য কিছু হিন্দু শাস্ত্রে কিছু গাছের উল্লেখ রয়েছে। যেগুলো শিশুদের ঘরে রাখলে তাদের একাগ্রতা, মানসিক প্রশান্তি এবং পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়তে পারে। এই গাছগুলো শুধু সন্তানের পড়ার প্রতি মনোযোগ বাড়াবে তা নয়, সেই সঙ্গে খেয়াল রাখবে তার স্বাস্থ্যেরও। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে। ফলে সময় মত পড়তে বসে যাবে নিজে থেকেই। রেজাল্টও হবে খুব ভাল।
বাস্তু অনুসারে এই গাছগুলির স্থান এবং রক্ষণাবেক্ষণ শিশুদের ঘরকে একটি ইতিবাচক এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রদান করতে পারে, যা তাদের পড়াশোনা এবং বিকাশে সহায়ক হবে। দেখে নেওয়া যাক আপনার সন্তানের ঘরে কোন কোন গাছগুলিকে রাখবেন।
মানি প্ল্যান্ট
মানি প্ল্যান্টের সবুজ পাতা শিশুদের মনকে শান্ত রাখে এবং তাদের মানসিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। মানি প্ল্যান্ট বাস্তুতে সমৃদ্ধি এবং ইতিবাচকতার প্রতীক। এটি সন্তানের ঘরে রাখলে তাদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়ে এবং মনোযোগের ব্যাঘাত কম হয়। ফলে ঘরে রাখাই যেতে পারে।
তুলসী গাছ
সন্তান যে ঘরে পড়তে বসে, সেই ঘরে একটি তুলসী গাছ রেখে দিলেই হাতেনাতে ফল পাওয়া যাবে। তুলসী গাছ ঘরে ইতিবাচক শক্তি নিয়ে আসে এবং শিশুদের ঘরে রাখলে তাদের একাগ্রতা বৃদ্ধি পায়। তুলসী থেকে নির্গত সুগন্ধ এবং অক্সিজেন মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
অ্যারিকা পাম গাছ
হিন্দু বাস্তুশাস্ত্রে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে এই গাছের উল্লেখ রয়েছে। অ্যারিকা পাম একটি বায়ু পরিশোধক গাছ এবং এটি ঘরের বাতাসকে তাজা রাখতে সাহায্য করে। এটি শিশুদের ঘরে রাখলে পরিবেশে ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ ঘটে। এতে তাদের মেজাজ ভাল থাকে। ফলে খুশি মনে তারা পড়তেও বসে।
ল্যাভেন্ডার
সন্তানের পড়ায় মনোযোগ বসাতে চাইলে এই গাছের জুড়ি মেলা ভার। ল্যাভেন্ডার গাছ শিশুদের ঘরে রাখলে মানসিক উদ্বেগ কমে এবং মনে প্রশান্তি বজায় থাকে। এর সুবাস শিশুদের মেজাজকে ভাল রাখতে সাহায্য করে।