শেষ আপডেট: 11th December 2024 12:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হিন্দু ধর্মে মোক্ষদা একাদশীর বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। এই তিথিতে বিষ্ণুর কৃপা লাভের পাশাপাশি পূর্বপুরুষদের মোক্ষ লাভের পথও প্রশস্ত হয়। মনে করা হয়, মোক্ষদা একাদশীর উপবাস করলে মৃত্যুর পর বৈকুণ্ঠে স্থান লাভ হয় এবং এই একাদশীর উপবাস পরিবারকে সমস্ত দুঃখকষ্ট থেকে মুক্তি দেয়। অগ্রহায়ণ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে মোক্ষদা একাদশী পালিত হয়। এই তিথিতে পূর্বপুরুষদের নামে তাঁদের প্রিয় বস্তু দান করার বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। তবে পালনের সঠিক নিয়মও রয়েছে। প্রথমে তিথির দিকে নজর রাখা যাক।
মোক্ষদা একাদশীর উপবাস:
একাদশী তিথি শুরু হচ্ছে ২৪ অগ্রহায়ণ, ১০ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার, রাত ৩টে ৪৪ মিনিটে। একাদশী তিথি শেষ হচ্ছে ২৫ অগ্রহায়ণ, ১১ ডিসেম্বর, বুধবার, রাত ১টা ১০ মিনিট।
এই উপবাসের নিয়ম রয়েছে। বিশ্বাস অনুসারে, যে ব্যক্তি ভক্তি সহকারে একাদশীর উপবাস পালন করে সে মোক্ষ লাভ করে। উপবাসকারীর উচিত দশমী তিথি থেকেই সংযম ও নিয়ম পালন শুরু করা। ব্যক্তির উচিত একাদশীর দিন উপবাস করে দ্বাদশী তিথিতে পারণ করা। এই তিথিতেই নিজের প্রিয় সখা অর্জুনকে গীতা উপদেশ দিয়েছিলেন কৃষ্ণ। তাই মোক্ষদা একাদশী তিথিতে গীতা জয়ন্তী পালিত হয়।
সঠিকভাবে উপবাস করার নিয়মগুলো জেনে নেওয়া যাক। মোক্ষদা একাদশীর দিনে প্রথমে ভোরবেলা তাড়াতাড়ি উঠে ব্রহ্ম মুহূর্তে স্নান করে নিতে হবে। তারপর পরিষ্কার পোশাক পরে ঠাকুরঘর শুদ্ধ করে নিতে হবে। একটি কাঠের চৌকিতে হলুদ কাপড় বিছিয়ে বিষ্ণুর প্রতিমা স্থাপন করতে হবে। তার পাশে কৃষ্ণের প্রতিমা রাখতে হবে। তবেই হবে সঠিক নিয়ম।
এরপর পঞ্চামৃত দিয়ে বিষ্ণুর অভিষেক করতে হবে। তারপর নারায়ণকে হলুদ চন্দন, অক্ষত, হলুদ ফুল নিবেদন করতে হবে। বিষ্ণুর পুজো হয়ে গেলে এক মনে মোক্ষদা একাদশী ব্রতকথা পাঠ করতে হবে। এর সঙ্গে বিষ্ণু চালিসা পাঠ করতে হলে। হয়ে গেলে নারায়ণের আরতি শুরু করতে হবে। আরতি হয়ে গেলে ভোগ নিবেদন করতে হবে। পরের দিন সকালবেলা ব্রতভঙ্গ করে দান-পুণ্য করলেই দাম্পত্য জীবন সুখের হবে।