শেষ আপডেট: 1st February 2025 21:54
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাজারে বিভিন্ন ধরনের কুল এখন পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ছে টোপা কুল, আপেল কুল, নারকেল কুল এবং টক কুল। সরস্বতী পুজোর আগে অনেকেই কুল খেতে চান না। তবে এই সময়টাতেই বাজারে কুল পাওয়া যায়। এ বছর সরস্বতী পুজো ২ এবং ৩ ফেব্রুয়ারি হতে চলেছে। প্রতিবছরের মতোই স্কুল, কলেজ এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুজো হবে।
সরস্বতী পুজোর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল কুল, যা নৈবেদ্য হিসেবে পুজোর আঙিনায় রাখা হয়। তবে ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, কুল ছাড়া সরস্বতী দেবী তুষ্ট হন না। অনেকের ধারণা, সরস্বতী পুজোর আগে কুল খেলে দেবী রেগে যান। তবে এই ধারণার পেছনে আসল সত্যিটা কী?
ছেলেবেলা থেকে অনেকেই সরস্বতী পুজোর আগে কুল খাওয়ার পরিহার করেন, তবে বেশিরভাগেই জানেন না কেন তাঁরা এটি করছেন। পৌরাণিক গল্পের পাশাপাশি এর স্বাস্থ্যগত কারণও রয়েছে। একে একে দু’টি কারণ ব্যাখ্যা করা যাক।
পুরাণ অনুসারে, একসময় মহর্ষি ব্যাসদেব কঠোর তপস্যায় মগ্ন হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তপস্যা শুরু করার আগেই সরস্বতী দেবী নিজে তাঁকে দর্শন দেন এবং তাঁকে একটি কুলের বীজ হাতে দেন। দেবী নির্দেশ দেন যে, ব্যাসদেব ওই কুলের বীজ তপস্যার স্থানেই পুঁতে দেবেন এবং সেই বীজ থেকে চারা হয়ে গাছ বড় হয়ে কুল ধরবে, তখনই তিনি তপস্যা শুরু করতে পারবেন।
দেবী আরও বলেন, যতক্ষণ না কুলটি ব্যাসদেবের মাথায় ঝরে পড়বে, ততক্ষণ তপস্যা চালিয়ে যেতে হবে। সেই নির্দেশ পালন করে ব্যাসদেব দীর্ঘ সময় ধরে তপস্যা করেন। শেষে যখন কুলটি পেকে এবং ঝরে পড়ে, তখনই দেবী তুষ্ট হন। এই সময়টি ছিল মাঘ মাসের শুক্লা পক্ষের পঞ্চমী তিথি, যা বসন্ত পঞ্চমী হিসেবে পালিত হয়। সেই থেকে অনেকেই এই রীতি মেনে চলছেন, যার কারণে সরস্বতী পুজোর সময় কুল খাওয়া থেকে বিরত থাকেন।
এটি ধর্মীয় কারণ। তবে স্বাস্থ্যগত কারণও রয়েছে। মাঘ মাসের মাঝামাঝি সময়ের আগে কুল কাঁচা বা কশযুক্ত থাকে। কাঁচা কুল বা কশযুক্ত কুল খেলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ফলে অনেকেই তা থেকে দূরে থাকেন।