শেষ আপডেট: 7 February 2024 18:43
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মাঘ মাসের অমাবস্যা তিথির নাম মৌনী অমাবস্যা। কেন এমন নাম? অনেকের মতে, ঋষি মনু এই তিথিতে জন্মেছিলেন বলে এটির নাম হয়েছে মৌনী অমাবস্যা। আবার অনেকে বলেন এই তিথিতে মৌনব্রত পালন করলে অশুভ শক্তির বিনাশ হয় বলে তিথির নাম হয়েছে মৌনী অমাবস্যা। আবার জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী মনের দেবতা চন্দ্রদেব। মাঘী অমাবস্যার রাতে আকাশে চন্দ্রদেবকে দেখা যায় না। অন্য অমাবস্যার তুলনায় এই অমাবস্যার রাত অনেক বেশি ঘন কালো হয় তাই মানুষের মন বিচলিত ও অশান্ত হয়ে ওঠে। মনকে শান্ত করার জন্যই মৌনব্রত পালন করা হয়। তাই এই অমাবস্যার নাম মৌনী। নামের ব্যাখ্যা যাই হোক না কেন শাস্ত্রজ্ঞরা স্বীকার করেন মৌনী অমাবস্যার তিথি হিসেবে বিশেষ গুরুত্ব আছে।
• এবার মৌনী অমাবস্যা যোগ কবে ?
বৈদিক পঞ্জিকা অনুসারে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮ টে বেজে ১ মিনিটে মৌনী অমাবস্যা শুরু হচ্ছে। পরের দিন অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি ভোর ৪ টে ২৯ মিনিটে শেষ হবে এই তিথি। মৌনী অমাবস্যায় গঙ্গা স্নান করলে সব পাপ ধুয়ে যায় এমনই বিশ্বাস মানুষের। এই অমাবস্যায় প্রয়াগরাজে সাগরসঙ্গমে গুরুজনের পারলৌকিক ক্রিয়াকর্ম করলে তাঁদের আত্মার শান্তি হয় এবং অশুভ শক্তির বিনাশ হয় বলে মনে করেন পণ্ডিতরা।
• জ্যোতিষ মতে কাদের এই অমাবস্যা অবশ্য পালনীয়?
জ্যোতিষীদের গণনায় শনিদেবের বক্রদৃষ্টি আছে যেসব রাশির ওপর তাঁরা অবশ্যই মৌনী অমাবস্যা পালন করবেন। এখন মকর, কুম্ভ ও মীন রাশির জাতক জাতিকাদের শনির সাড়ে সাতি দশা চলছে। আর কর্কট ও বৃশ্চিক রাশির জাতক জাতিকাদের শনির ধাইয়া চলছে।
• শনিদেবের নেতিবাচক প্রভাব কাটাতে মৌনী অমাবস্যার সন্ধ্যায় অশ্বত্থগাছের নীচে প্রদীপ জ্বালান এবং শনিদেবের মন্ত্র জপ করুন। এতে শনিদেব সন্তুষ্ট হবেন। নেতিবাচক প্রভাব কেটে যাওয়ার সম্ভবনা।
• কালো তিল, তিলের তেল, তিলের নাড়ু দান করুন।
• দরিদ্রকে কালো বস্ত্র দিন। শনিদেব তুষ্ট হবেন।
• মৌনী অমাবস্যা পালনের রীতিনীতি
মাঘ মাসের এই অমাবস্যা প্রত্যেকের পালন করা দরকার বলে মনে করেন শাস্ত্রজ্ঞ ও জ্যোতিষীরা। কারণ মৌনী অমাবস্যা পালন করলে পজেটিভ এনার্জি বেড়ে যায়, অশুভ শক্তির বিনাশ হয়। সংসারে সুখ সমৃদ্ধি ফিরে আসে। কীভাবে পালন করবেন জেনে নিন।
• গঙ্গা বা কোনও পবিত্র নদীর জলে স্নান করে দিন শুরু করবেন। নদীতে যাওয়া সম্ভব না হলে স্নানের জলে কয়েক ফোঁটা গঙ্গাজল মিশিয়ে স্নান করুন।
• সাধ্য মতো দান করুন।
• কালো তিল, তিলের তেল, তিলের নাড়ু, আমলকি দান করুন।
• স্নানের পর সূর্যদেবকে প্রণাম করুন। দুধ ও তিলের বীজের অর্ঘ্য সূর্যদেবকে অর্পণ করলে সব আটকে যাওয়া কাজ সম্পূর্ণ হবে এবং মনের সব ইচ্ছে পূর্ণ হবে।