চিনের ‘রেনবো মাউন্টেন’, প্রকৃতি যেখানে চিত্রশিল্পী


এই পার্কে প্রবেশ করলেই পর্যটকদের চোখ ধাঁধিয়ে যায় বেগুনি-নীল-আকাশি-সবুজ-হলুদ-কমলা-লাল রঙের বাহার দেখে। না, পার্কে রঙবেরঙের ফুল ফোটেনি। ন্যাড়া পাহাড়ের গায়ে প্রকৃতিদেবী নিপুণ হাতে তাঁর সাতরঙা তুলি বুলিয়েছেন।
প্রায় ২ কোটি ৪ লাখ বছর ধরে টেকটনিক প্লেটের সংঘর্ষের ফলে এই রেনবো মাউন্টেন তৈরি হয়েছিল। সংঘর্ষের ফলে ভূগর্ভ থেকে বেরিয়ে এসেছিল শিলাস্তর। প্রচুর পরিমাণে রঙিন সিলিকা, লোহা ও বিভিন্ন খনিজ পদার্থ ছিল সেই শিলাস্তরে।
লক্ষ লক্ষ বছর ধরে ঝড়,বৃষ্টি, তুষারপাত, বায়ুপ্রবাহ, সূর্যের তাপ, জলবায়ু পরিবর্তন ও নানা রাসায়নিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার ফলে গড়ে উঠেছে এক রঙিন ও প্রাকৃতিক আর্ট গ্যালারি। যা আজকে ড্যানজিয়া ল্যান্ডফর্ম নামে পরিচিত।
আরেকটি জিনিস পর্যটকদের মনে বিষ্ময় জাগায়। এই ৪০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ঘাস ছাড়া অন্য কোনও উদ্ভিদ বা প্রাণীর অস্তিত্ব নেই। এর একটা কারণ হতে পারে এখানকার অত্যন্ত রুক্ষ ও শুষ্ক আবহাওয়া।
২০১০ সালে ইউনেস্কো প্রকৃতির এই আশ্চর্য সৃষ্টিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করেছে।আজ এই রেনবো মাউন্টেন উত্তর-পশ্চিম চিনের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র।