এক পাগল রাজা ,যাঁর বালির দুর্গে সারা বছর চলে বই মেলা
ব্রাজিলের বাররা-ডা-তিজুকা সমুদ্র সৈকতে আছে এক দুর্গ। সেই দুর্গে থাকেন এক রাজা। দুর্গের সামনে বসে আছেন রাজা মার্সিও। পাশে বসে অতন্দ্র প্রহরী বুর্কা।
এই দুর্গে কিং মার্সিও বাস করছেন ২৩ বছর। একা। দুর্গের ভেতরে নেই বিদ্যুৎ নেই নেই আসবাবপত্র।
দুর্গে ভেতর আছে হরেকরকম বই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নামী দামী লেখকের লেখা। বইগুলি পুরোটা পড়ে তবে কিং মার্সিও বিক্রি করেন। হ্যাঁ, বই বিক্রি তাঁর রোজগারের একমাত্র পথ।
বইয়ের নির্দিষ্ট কোনও দাম নেই। বই তুলে নিয়ে পাশে রাখা কৌটোয় ইচ্ছামতো দাম দিয়ে দিলেই হল। অনেকে দেন,অনেকেই দাম না দিয়ে বই নিয়ে চলে যান। বিদেশি পর্যটকদের কাছে কিং মার্সিও ও তাঁর দুর্গ এবং বইয়ের দোকান এই সৈকতের অন্যতম দ্রষ্টব্য। তাই ভোর থেকে ভিড় লেগেই থাকে কিং মার্সিওর দুর্গের বাইরে।
বইপাগল কিং মার্সিওর বালির দুর্গ ঝড়, বৃষ্টি জোয়ারের জলে মাঝে মাঝে ধসে যায়। নতুন দূর্গ বানিয়ে নেন রাজা।
কেন বালির দুর্গে থাকেন কিং মার্সিও? আসলে সৈকতটি বিত্তবানদের। এখানে জমি কিনে বাড়ি বানাবার অর্থ নেই। তাই ২৩ বছর আগে মাথায় এসেছিল বালির দুর্গ বানানো ও তার মধ্যে থাকার ভাবনা। বিদ্যুতের খরচ আর ট্যাক্সের ঝামেলা নেই।
বিয়ে করা হয়ে ওঠেনি। কারণ, কেউ বালির দুর্গে থাকতে রাজি হননি। তাই বইকেই জীবনসঙ্গী করে বালির দুর্গে জীবনের খেলাঘর গড়েছেন কিং মার্সিও, হয়তো বেদনার বালুচরে।
এই মানুষটি সম্পর্কে আরও বিশদে জানুন
https://www.four.suk.1wp.in/feature-king-marcio-has-been-living-in-a-sandcastle-for-22-years/