শেষ আপডেট: 27th September 2024 20:53
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দার্জিলিঙের কথা উঠলে প্রথমেই আসে টয় ট্রেনের নাম। ধোঁয়া উড়িয়ে, পাহাড়ে বুক চিরে চলা এই ট্রেন আট থেকে আশি সকলের প্রিয়।
টয় ট্রেন মানেই দার্জিলিং, এমন মনে করেন অনেকেই। আসুন, ওয়ার্ল্ড ট্যুরিসম ডে-তে জেনে নেওয়া যাক, দেশের আর কোথায় কোথায় এই জয় রাইডের যাত্রা উপভোগ করতে পারবেন আপনি।
নীলগিরি মাউন্টেন রেলওয়ে
এশিয়ার মধ্যে অন্যতম খাড়াই নীলগিরি পর্বতের রেলপথ। তামিলনাড়ুর উটিতে ঘুরতে গেলে চড়তে পারবেন এই ট্রয় ট্রেনে। অত্যন্ত খাড়াই পথ হওয়ায় এখানে সর্বাধিক ১০.৪ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় চলে ট্রেন। ২০০৫ সালে নীলগিরি মাউন্টেন রেলওয়ে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের মর্যাদা পায়। বর্ষাকালে বন্ধ থাকে এই পথ।
মাথেরান হিল রেলওয়ে
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮০০ মিটার উচ্চতায় মহারাষ্ট্রের সহ্যাদ্রি পর্বতমালায় রয়েছে রেলপথ। মুম্বই ও পুণে থেকে মাত্র আড়াই ঘণ্টা দূরে, মাথেরানের মালভূমির শীর্ষে পৌঁছানোর একমাত্র উপায় এই মাথেরান হিল রেলপথই। ১৯০৭ সালে নির্মিত, মাথেরান টয় ট্রেনটির যাত্রাপথ ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ।
কালকা-সিমলা রেলপথ
২০০৮ সালে এই রেলপথটি ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা পায়। এর সঙ্গে জড়িয়ে বহু পুরনো ইতিহাস। এটি আসলে তৈরি হয় ১৯০৩ সালে, ব্রিটিশ ভারতে। বর্তমানে হরিয়ানার কালকা থেকে হিমাচল প্রদেশের সিমলা পর্যন্ত ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথ রয়েছে। সর্বাধিক ২২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ছুটে যেতে পারে ট্রেন। রয়েছে ১৪টি স্টেশন। যাত্রাপথের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল উচ্চতা এবং ১১৪৩ মিটার দীর্ঘ বারোগ টানেল।
কাঙড়া ভ্যালি রেলওয়ে
হিমাচল প্রদেশের কাঙরা উপত্যকার ১৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ট্রেন পথ ভারতের দীর্ঘতম ও শেষ পর্বতে অবস্থিত রেলপথ। যা পাঞ্জাবের পাঠানকোট থেকে হিমাচল প্রদেশের জোগিন্দরনগর অবধি চলে। রয়েছে প্রায় ৯৫০টি সেতু ও ১৮টি স্টেশন।