শেষ আপডেট: 31st March 2023 11:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পর্ন ছবির অভিনেত্রী স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে (Stormy Daniels) 'হাশ মানি' দেওয়ায় শাস্তি পেতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। স্টর্মির অভিযোগ, মুখ বন্ধ করার জন্য তাঁকে ঘুষ হিসেবে টাকা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু প্রশ্ন হল, কে এই স্টর্মি ড্যানিয়েলস, যাঁর জন্য সাজার মুখে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট!
পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দিয়ে ফেঁসেছেন ট্রাম্প! কী ঘটেছিল তাঁদের মধ্যে
নীলছবির অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিত স্টর্মি ড্যানিয়েলসের আসল নাম স্টেফানি ক্লিফোর্ড।
আমেরিকার লুজিয়ানায় ১৯৭৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
লুজিয়ানার ব্যাটন রুজের একটি গরিব এলাকায় বড় হন।
ছোটবেলায় তিনি ঘোড়ায় চড়তে ও লেখালেখি করতে পছন্দ করতেন।
ছোটবেলা থেকেই সাংবাদিক হতে চেয়েছিলেন স্টর্মি।
সে স্বপ্ন থেকে বহু দূরে সরে গিয়ে ২০০৪ সালে পর্ন ছবির ইন্ডাস্ট্রিতে জড়িয়ে পড়েন স্টেফানি।
সেখানেই তাঁর নাম হয় স্টর্মি ড্যানিয়েলস।
তিনি নিজেই জানিয়েছেন, হুইস্কির নামকরা ব্র্যান্ড জ্যাক ড্যানিয়েলস থেকেই নিজের নামের অংশ বেছে নেন তিনি নিজেই।
ধীরে ধীরে পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে রীতিমতো নামকরা মুখ হয়ে ওঠেন স্টর্মি।
তবে স্টর্মি জানিয়েছেন, এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার আগে মাত্র ১৭ বছর বয়সেই প্রথম স্ট্রিপিংয়ের (নগ্ন হওয়ার) অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাঁর।
তবে পর্ন ছবির পাশাপাশি বেশ কয়েকটি মূলধারার চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি। জিতেছেন অসংখ্য পুরস্কার।
২০১০ সালে তিনি লুসিয়ানার রিপাবলিকান সিনেট মনোনয়নের জন্য প্রতিযোগিতা করে রাজনীতিতেও নাম লেখিয়েছিলেন।
২০১১ সালে নিজের আত্মজীবনী ‘ফুল ডিসক্লোজার’ লিখেছিলেন তিনি।
এই নিয়েই মার্কিন সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘ইন টাচ’-এ একটি সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি প্রথম দাবি করেন, ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল তাঁর।
স্টর্মির এই সাক্ষাৎকার নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায় গোটা আমেরিকা তথা বিশ্বে।
সংবাদমাধ্যমের সামনে ড্যানিয়েলস দাবি করেন, ২০০৬ সালে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের শুরু হয়েছিল।
সেই বছর জুলাই মাসে একটি গলফ টুর্নামেন্টে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর প্রথম দেখা হয়।
এর পরে ক্যালিফোর্নিয়া ও নেভাডার রিসোর্ট এলাকার হোটেলে তাঁরা যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন বলেও দাবি করেন তিনি।
স্টর্মির দাবি, এই যৌন সম্পর্কের কথা যেন কেউ জানতে না পারে, সে জন্য তাঁকে প্রবল চাপ দেন ট্রাম্প।
অভিযোগ, ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে মুখ বন্ধ রাখার জন্য তাঁকে ১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার ঘুষও দিয়েছিলেন ট্রাম্পের আইনজীবী।