শেষ আপডেট: 25th January 2025 16:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো : ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন বিধ্বংসী ব্যাটার বীরেন্দ্র সেহওয়াগ নাকি স্ত্রী আরতি অহলাওয়াতকে ডিভোর্স দিতে চলেছেন। অন্তত এমনই খবর শোনা যাচ্ছে। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম তো দাবি করেছে, গত কয়েকমাস ধরেই নাকি বীরেন্দ্র এবং আরতি একে অপরের থেকে আলাদা থাকছেন।
আর সেকারণে এই ডিভোর্সের গুঞ্জন আরও জোরদার হতে শুরু করেছে। অনেকেই লিখতে শুরু করেছেন, সেহওয়াগ এবং আরতি নাকি একে অপরের থেকে গ্রে ডিভোর্স নিতে চলেছেন। যদিও সেহওয়াগ কিংবা আরতির তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত এই ব্যাপারে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
২০০৪ সালে বীরেন্দ্র সেহওয়াগ এবং আরতি অহলাওয়াত বিয়ে করেছিলেন। ২০ বছর তাঁরা একসঙ্গে থাকার পর অবশেষে ডিভোর্সের গুঞ্জন উঠতে শুরু করেছে। আরতিকে ছোটবেলা থেকেই ভালবাসতেন সেহওয়াগ। যখন দুজনের প্রথম দেখা হয়েছিল, তখন সেহওয়াগের বয়স ছিল ৭ বছর এবং আরতির ৫। যদি এই বিচ্ছেদের গুঞ্জন সত্যিই হয়, তাহলে সেহওয়াগ এবং আরতিকে গ্রে ডিভোর্স নিতে হবে।
যখন কোনও দম্পতি অনেক বছর একসঙ্গে থাকার পর বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, তখন তাঁদের গ্রে ডিভোর্স নিতে হয়। সাধারণত যাঁদের বয়স ৫০ বছর কিংবা তার বেশি, তাঁদেরই অধিকাংশ ক্ষেত্রে গ্রে ডিভোর্স হয়ে থাকে। গ্রে ডিভোর্সকে অনেকে আবার সিলভার স্প্লিটার্স কিংবা হীরক বিচ্ছেদও বলে থাকে।
ভারতে যতগুলো ডিভোর্সের পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে, তারমধ্যে গ্রে ডিভোর্সই সবথেকে বেশি যন্ত্রণাদায়ক। কারণ এই ধরনের ডিভোর্সে এমন দুজন ব্যক্তি আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন যাঁরা বহু বছর একসঙ্গে থেকেছেন। সুখ-দুঃখে একে অপরের সঙ্গী হয়েছেন। ভাগ করে নিয়েছেন একাধিক আনন্দের মুহূর্ত। সেকারণে গ্রে ডিভোর্সকে একপ্রকার মানসিক ধাক্কা বলা যেতেই পারে। কেউ এই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেন। কেউবা আবার এরমধ্যেই ডুবে যান।
প্রসঙ্গত, গত তিন বছরে গ্রে ডিভোর্স সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আগামী পাঁচ বছরে এই সংখ্যাটি তিনগুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে। ২০০৫ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ৬৫ বছর বয়সি কিংবা তাঁর বেশি বয়সি পুরুষের মধ্যে ডিভোর্সের হার ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, এই বয়সি মহিলাদের মধ্যে ডিভোর্সের হার ৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এগুলো প্রত্যেকটাই গ্রে ডিভোর্সের অন্তর্গত।
বীরেন্দ্র সেহওয়াগ ইতিমধ্যে ৫০ বছর বয়সে পা দিয়েছেন। বিয়ের ২০ বছর পর যদি ডিভোর্সের পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে সেটা অবশ্যই মানসিক যন্ত্রণা দেয়। তার উপরে সেহওয়াগ দম্পতির আবার দুই সন্তানও রয়েছে।