শেষ আপডেট: 26th June 2023 09:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কেউ ঘাগরায় তো কেউ শাড়িতে, আবার কেউ কিমোনোতে তো কেউ সাম্পতে। এশিয়ার বিভিন্ন দেশের লুকিয়ে আছে নানান ধরণের সংস্কৃতি আর সেই সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে গোটা এক একটা দেশ। যেখানে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ভাষা, পোশাক এবং খাবারদাবারের বৈচিত্র্য। কথায় আছে, পোশাক দেখে মানুষ চেনা যায়। সত্যিই কি তাই?
চলুন দেখে নিই এশিয়ার দশটি দেশের মহিলাদের ট্র্যাডিশনাল পোশাক, যা দেখে আপনি মুগ্ধ হতে বাধ্য।
রানওয়ে জুড়ে শুধুই শূন্যতা… ফিরে দেখা মহীনের ঘোড়াদের 'সুদিন'-এর ছবি
ভারতে একটা কথা প্রচলিতই আছে যে, শাড়িতেই নারী। এই শাড়িই হল ভারতের ট্র্যাডিশনাল পোশাক। ভারতের বেশিরভাগ মহিলারাই শাড়ি পড়তেই অভ্যস্ত। তবে এই শাড়ি পরার ধরন বা শাড়ির নকশা অঞ্চলভেদে আলাদাও হয়ে থাকে।
দাউরা সুরুয়াল হল নেপালের জাতীয় পোশাক। ১৯ শতকের নেপালের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জং বাহাদুর রানা এটি চালু করেছিলেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নেপালের এই জাতীয় পোশাকের রং লাল হয় বা তাতে লালের আধিক্য বেশি থাকে।
ঐতিহ্যবাহী কান্দিয়ান শাড়ি (ওসরিয়া) হল শ্রীলঙ্কার জনপ্রিয় ট্র্যাডিশনাল পোশাক। যে কোনও অনুষ্ঠানেই মহিলারা এই পোশাক পরে থাকেন।
মায়ানমারের জাতীয় পোশাক হল লংগি। গোড়ালি অবধি ঢাকা এক ধরণের স্কার্ট এবং উপরে ফুলহাতা ব্লাউজের মতো দেখতে একটি টপই হল ওখানকার মেয়েদের জন্য ট্র্যাডিশনাল পোশাক।
মালয়েশিয়ার মহিলাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক হল বাজু কুরুং, কেইন নামক হাঁটু অবধি একধরনের স্কার্ট এবং ফুলহাতা ব্লাউজ। স্কার্টটির একপাশ ভাঁজ করা থাকে এবং অনেকসময় মাথায় থাকে একটি স্কার্ফ। মালয়েশিয়ার এই ধরণের ট্র্যাডিশনাল ড্রেস সাধারণত টু পিস পোশাকের মতো দেখতে হয়।
ভুটানে মহিলাদের জাতীয় পোশাককে কিরা বলা হয়। জানা যায়, ১৭ শতকে ভুটানিদের একটি অনন্য পরিচয় দেওয়ার জন্য ঝাবদ্রুং নগাওয়াং নামগেল দ্বারা এই পোশাক চালু করা হয়েছিল।
একজাউট লাও (xout lao) হল লাওসের জাতীয় পোশাক, যা কেবল ওখানকার মহিলারা নয় পুরুষ এবং শিশুরাও পরে থাকে। একজাউট লাও শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল 'লাও পোশাক'।
কেবায়া হল ইন্দোনেশিয়ার মহিলাদের জাতীয় পোশাক। এটি সিল্ক, পাতলা তুলা, নাইলন বা পলিয়েস্টারের মতো কাপড় থেকে তৈরি করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ধরনের পোশাকে ব্রোকেড বা ফ্লোরাল প্যাটার্নের নিখুঁত কাজ দেখা যায়।
ঐতিহ্যবাহী থাই পোশাককে বলা হয় চুট থাই, যার আক্ষরিক অর্থ হল 'থাই পোশাক'। মহিলাদের ক্ষেত্রে চুট থাই এই পোশাকটির মধ্যে থাকে একটি ফা নুং বা ফা চুং হ্যাং, একটি ব্লাউজ এবং একটি ফা বিয়াং।
সাম্পত হল খেমার অর্থাৎ কম্বোডিয়ার মহিলাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক। যদিও এই পোশাকটিকে দেখতে অনেকটা তাঁদের প্রতিবেশী দেশ লাওস এবং থাইল্যান্ডে পরা সারংগুলির মতো হয় তবে সাম্পতের মধ্যে অন্যরকম একটি ভিন্নতা রয়েছে।