শেষ আপডেট: 15th October 2024 19:20
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কেরিয়ারের প্রথম ছবিই ফ্লপ। তারপরের ছবিগুলো যে বক্স অফিসে বিরাট সাফল্য আনতে পেরেছিল, তা একেবারেই নয়। কেরিয়ারের শুরুতেই পর পর আটটি ছবি বক্স অফিসে ব্যর্থ হয় অভিনেত্রীর। তবে বলিপাড়ায় তিনিই প্রথম ২০০ কোটি টাকার ছবি বক্স অফিসে উপহার দেন। কথা হচ্ছে মাধুরী দীক্ষিতের।
নব্বইয়ের দশকে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রীদের তালিকায় শীর্ষে ছিলেন মাধুরী। বলিপাড়া সূত্রে খবর, নব্বইয়ের দশকে অভিনেত্রী নাকি শাহরুখ খান এবং সলমন খানের চেয়েও বেশি পারিশ্রমিক নিতেন। এর ব্যর্থ সিনেমা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তিনি পারিশ্রমিকের দিক থেকে শীর্ষে ছিলেন?
কেরিয়ারের শুরুটা খুব একটা ভাল না হলেও, পরে একের পর এক হিট ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। ১৯৮৪ সালে ‘অবোধ’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রেখেছিলেন মাধুরী। প্রথম ছবিই বক্স অফিসে জায়গা করে নিতে পারেনি। তারপরে ১৯৮৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘আওয়ারা বাপ’ ছবিও সাফল্যের মুখ দেখেনি।
এরপর ‘স্বাতী’, ‘মানব হত্যা’, ‘হেফাজত’, ‘উত্তর দক্ষিণ’, ‘মোহরে’ এবং ‘খতরো কি খিলাড়ি’-র মতো ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে এই ছ’টি ছবিও বক্স অফিসে তেমন সাড়া ফেলেনি। তারপরেও শাহরুখ-সলমনের থেকে বেশি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন সেই সময়।
কিন্তু এতগুলো ছবি ফ্লপ হওয়ার পরেও হাল ছাড়েননি মাধুরী। অভিনয় চালিয়ে গিয়েছিলেন। কাজ করতে করতে হঠাৎই একটি নতুন মোড় আসে তাঁর জীবনে। ১৯৮৮ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘তেজ়াব’ ছবিটি। বক্স অফিসে প্রচুর টাকার ব্যবসা করেছিল এই ছবি।
তারপরে নব্বইয়ের দশকে ‘দিল’, ‘সাজন’, ‘থানেদার’, হম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘দিল তো পাগল হ্যায়’, ‘খলনায়ক’, ‘রাজা’র মতো বহু হিট ছবিতে অভিনয় করেন মাধুরী। তখন থেকে বলিউডে রাজ অভিনেত্রীর। সলমনের বিপরীতে ‘হম আপকে হ্যায় কৌন’ ছবিতে অভিনয় করে বলিপাড়ায় সাড়া ফেলে দেন মাধুরী। ছ’কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা হয় ছবিটি।
এতটাই হিট ছিল এই সিনেমা যে, ‘হম আপকে হ্যায় কৌন’ ছবিটি মুক্তির পর সারা ভারতে ৭২ কোটি টাকা আয় করে। বিশ্ব জুড়ে এই ছবির মোট উপার্জন ছিল ২১০ কোটি টাকা। তারপর থেকেই মাধুরীর পারিশ্রমিক বৃদ্ধি পায়। বলিউড সূত্রে খবর, মাধুরী সেই সময় ৫০ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক আদায় করতেন সে সময় শাহরুখ প্রতি ছবিতে অভিনয়ের জন্য ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতেন।