শেষ আপডেট: 12th December 2024 17:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আমাদের আশপাশে এমন অনেক প্রাণী ও পোকা মাকড় রয়েছে যারা চোখে দেখতে পায় না। দৃষ্টিশক্তিও ক্ষীণ। সাধারণভাবে দেখলে হয়তো বোঝাই যাবে না। আসলে এই সব প্রাণী বা পোকা মাকড়দের চোখের থেকেও বেশি কাজ করে অন্যান্য ইন্দ্রিয়। যা দিয়ে প্রতিদিনের কাজ চালিয়ে নিতে পারে তারা। রইল এমন সাত প্রাণী ও পোকা মাকড়ের হদিশ।
মেক্সিকান টেট্রা
এই মাছের আরেক নাম ব্লাইন্ড কেভ ফিশ। হালকা পিঙ্ক রঙের এই মাছের চোখ নেই। কিন্তু অন্যান্য মাছের মতো এদেরও 'ল্যাটারাল লাইন' নামের একটি অঙ্গ রয়েছে। যা দিয়ে বস্তু বা অন্যান্য প্রাণীদের উপস্থিতি অনুভব করতে পারে।
সালামান্ডার
এই প্রজাতির পোকা মাকড়ের অনেকেরই চোখ পাতলা চামড়া দিয়ে ঢাকা থাকে। দেখতে এরা পায় না। কিন্তু শুনতে পায়। বুঝতে পারে ভাইব্রেশন। সেই থেকেই কারও উপস্থিতি অনুভব করতে পারে। টেক্সাস ব্লাইন্ড সালামান্ডার এর মধ্যে পড়ে।
সাপ
বিবিসির এক রিপোর্ট বলছে, সাপের কিছু প্রজাতি রয়েছে যারা চোখে দেখতে পায় না। ব্রাহ্মিণী নামের সাপেরা তেমন। এদের ব্রাহ্মিণী ব্লাইন্ড স্নেক নামেও ডাকা হয়। দেখতে না পেলেও অন্যান্য ইন্দ্রিয়র জন্য সহজেই পোকা মাকড়ের উপস্থিতি বুঝতে পারে।
ছুঁচো
এক প্রজাতির ছুঁচো রয়েছে যাদের নাকটা খানিকটা স্টারের মতো দেখতে। এদের চোখ নেই। চোখ থাকেই না। ঘ্রাণের সাহায্যে বুঝতে পারে পোকা মাকড় বা অন্য কোনও প্রাণীর উপস্থিতি। স্টার নোসেস মোল বলা হয় এই প্রজাতির ছুঁচোদের।
জায়ান্ট ব্লাইন্ড মোল ব়্যাটস
এই ধরনের ধেরে ইঁদুররা চোখে একেবারেই দেখতে পায় না। ছোট চোখ পাতলা চামড়া দিয়ে ঢাকা থাকে। উপর থেকে ঘন লোম দিয়ে ঢাকা। এরাও বাকিদের মতোই ঘ্রাণ, গন্ধ ও ভাইব্রেশনে অন্যের উপস্থিতি বুঝতে পারে।
প্যাসিফিক ল্যাম্প্রে
এই প্রজাতির পোকাদের পাঁচ বছর ধরে চোখ তৈরি হয় শরীরে। প্রথম পাঁচ বছর চোখ পাতলা চামড়া দিয়ে ঢাকা থাকে। ধীরে ধীরে প্রস্ফুটিত হয়। এদের খুব তীক্ষ্ণ দাঁত থাকে মুখের সামনে, খাবার খুব সহজেই নিজের দিকে টেনে নিতে পারে।
কাউই কেভ উলফ স্পাইডার
এই ধরনের মাকড়সাদের চোখ থাকে না। দেখতে পায় না কখনও। স্পর্শ এবং ঘ্রাণে কারও উপস্থিতি বুঝতে পারে।